এখন নয়াদিল্লিতে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, শনিবার সন্ধ্যায় জি–২০ সম্মেলনের নৈশভোজে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দেখা এবং কথা হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানে তিস্তার জল নিয়ে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই কথা পাড়বেন কিনা শেখ হাসিনা সেটা জানা যায়নি।
এদিকে নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও একদফা বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জি–২০ এই অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া জোটের আরও কয়েকজন আমন্ত্রিত রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও তৃণমূলনেত্রীর দেখা হবে বলে সূত্রের খবর। জি–২০ সম্মেলনকে ঘিরে এখন সেজে উঠেছে গোটা নয়াদিল্লি। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দেশের রাজধানীকে। আজ, শনিবার জি–২০ সম্মেলন চলাকালীন বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে সেখানে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওই নৈশভোজে যোগ দিতে নয়াদিল্লি গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
অন্যদিকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় নরেন্দ্র মোদী–জো বাইডেনের। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হয়। তারপর তা নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে হোয়াইট হাউজ থেকে। কোয়ান্টাম ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কনসর্টিয়ামে কলকাতার সত্যেন্দ্রনাথ বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সের অংশগ্রহণেরও প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে আয়োজিত নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নয়াদিল্লি গিয়েছেন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরে আসবেন। আর মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফরে রওনা দেবেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশ সফর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: সারাবছর বাংলায় আসুক পদ্মার ইলিশ, দাবি ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল আলাদা করে কিছু কথা বলতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তার জন্যই এমন দেখা করা। আবার সেই কথা যাতে পরবর্তী বৈঠকে উত্থাপিত হয় সেটা চান কেজরি। তাই মমতার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাতে চাইছেন। তবে সেটা কেমন কথা তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। উল্লেখ্য,এই নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে লেখা প্রেসিডেন্ট অব ভারত। তা নিয়ে ইতিমধ্যে তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। বিষয়টির বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে সরব হয়েছেন।