মিশন ২০২১-তে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। এবার বাংলা মডেলের ধাঁচে মিশন ২০২৪-এর সলতে পাকানো শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৫ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। সেখানে কমপক্ষে দিনপাঁচেক থাকবেন। সূত্র মারফত এমন খবরই মিলেছে।
এবারের বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রথমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। দিল্লি সফরের তিনি যে সময়টা বেছে নিয়েছেন, তাও যথেষ্ট ভেবেচিন্তেই করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাঁদের মতে, যে সময় মমতার দিল্লি যাওয়ার কথা, সেই সময় সংসদে বাদল অধিবেশনও শুরু হয়ে যাবে। ফলে মোটামুটি সব বিরোধীরাই তখন দেশের রাজধানীতে ঘাঁটি গড়বেন। সেই সুযোগেই বিভিন্ন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করার সুযোগ পাবেন। নিজেকে সামনে রেখে বিরোধী নেতাদের বৈঠকও করতে পারেন।বিশেষত ইতিমধ্যে কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার-সহ একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক সেরে রেখেছেন মমতার জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী প্রশান্ত কিশোর। ফলে বিরোধী নেতাদের মনোভাবও স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন মমতা। তার উপর ভিত্তি করেই একেবারে পরিকল্পনামাফিক মমতা বিরোধী ঐক্যের অস্ত্রে শান দিতে পারবেন বলে রাজনৈতিক মহলের মতে।
সূত্রের খবর, বাংলার বিধানসভা ভোটে ব্যাপক জয়ের পর নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাকেই তুলে ধরা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মমতাকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি এগিয়ে আসতে পারে। সেখানেই যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেখানেই সেই দলই লড়াই করার যে ফর্মুলা চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা, তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হতে পারে। পিকেরও টিপস নিতে পারেন মমতা। সেইসঙ্গে বিজেপিকে রুখে বিধানসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্যের জন্য মমতাকে সংবর্ধনাও দিতে পারেন বিরোধী নেতারা। বিশেষত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো যে বিরোধী নেতাদের মমতার সম্পর্ক ভালো, তাঁরা তৃণমূল সুপ্রিমো সংবর্ধনা দিতে পারেন। বৈঠক হতে পারে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও।