রবীন্দ্রর বয়স যখন ১৮, তখন সে উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ থেকে দিল্লি এসেছিল কাজের সন্ধানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে মাদকে আসক্ত হতে থাকে। পরে পর্ন ফিল্ম দেখার নেশায় বুঁদ হয়ে যায় রবীন্দ্র। দিল্লির রবীন্দ্র এরপর থেকেই অপরাধের পথে পা বাড়াতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর ৩০ শিশুর ধর্ষণ ও খুনের দায়ে রবীন্দ্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল দিল্লির রোহিনী আদালত।
২০১৫ সালে বেগমপুর পুলিশ স্টেশনে রবীন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় পকসো আইনে রোহিনী কোর্টের জাজ সুনীল কুমার রবীন্দ্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মামলায় বাদী ও বিবাদি দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেই এই মামলার সাজা শোনায় কোর্ট। এই ঘটনায় DLSAকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয় কোর্ট। যে শিশুরা এই নারকীয় ঘটনায় মারা গিয়েছে, তাদের পরিবারকে ১৫ লাখের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
( দাম্পত্যে দীর্ঘ সময় সঙ্গীকে সঙ্গম থেকে বিরত রাখা মানসিক নিষ্ঠুরতা, পর্যবেক্ষণ কোর্টের)
এদিকে, শিশুদের অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রবীন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা চলছে। এদিন ৬ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতন ও হত্যার দায়ে কোর্ট রবীন্দ্রকে সাজা দিয়েছে। এদিকে, রবীন্দ্রকে যে মামলায় পাকড়াও করা হয়েছে, সেই মামলায় ২০০৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ৩০ জন শিশুকে অপহরণ, যৌন নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ রয়েছে। মূলত রবীন্দ্র টার্গেট করত ৬ থেকে ১২ বছরের নাবালিকাদের। শিশুর খোঁজে সে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে যেত। মাদকে আসক্ত হওয়ার পরই তার এমন তীব্রতা শুরু হত ছোট শিশুদের ঘিরে। পুলিশ বলঠে, ২০১৫ সালে রবীন্দ্র দিল্লি থেকে গ্রেফতার হয়। বেগমপুর থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। পুলিশি জেরার মুখে রবীন্দ্র জানিয়েছে, সে মাদক সেবন করে ওমনভাবে নাবালিকাদের খুঁজত। তাদের হাতে চকোলেট আর ১০ টাকার নোট দিত। সেই লোভ দেখিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যেত। উল্লেখ্য, দিল্লির সুখবীর নগরে সিসিটিভি দেখেই পুলিশি তদন্তে ২০১৫ সালে বেরিয়ে আসে রবীন্দ্রর কীর্তিকলাপ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এক শিশুকে তুলে তাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup