ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সহকর্মীকে বিয়ে করতে চাওয়ায় নিজের ২২ বছর বয়েসি মেয়েকে খুন করার অপরাধে গ্রেফতার হল থানের বাসিন্দা বছর সাতচল্লিশের অরবিন্দ তিওয়ারি।
শনিবার রাতে মেয়ে প্রিনসিকে খুন করার পরে তার দেহ টুকরো করে সুটকেসে ভরে অটোরিকশায় ফেলে দিয়েছিল অরবিন্দ। রবিবার ভোরে খণ্ডিত মুণ্ডহীন দেহটি উদ্ধার করার পরে তদন্তে নেমে পুলিশ হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে।
মাস ছয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে থানেতে কাজের খোঁজে এসেছিলেন স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রিনসি তিওয়ারি। ভান্ডুপের এক সংস্থায় চাকরিসূত্রে মুসলিম ধর্মাবলম্বী সহকর্মী যুবকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার জেরে পরস্পর বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্পর্কের কথা জানার পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে হামেশা তুমুল ঝগড়া বাধত অরবিন্দের। ভিন্ন ধর্মের পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে সে কখনও মেনে নেয়নি। শেষে মেয়ের অনড় মনোভাবে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়ে সে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
মালাডের এক ভ্রমণ সংস্থায় চাকরির সুবাদে থানের এক বস্তিতে মেয়ের সঙ্গে বাস করত অরবিন্দ। পরিবারের বাকি সদস্যরা জৌনপুরে বাস করেন। প্রিনসিকে কী ভাবে খুন করেছিল অরবিন্দ, সে সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। সুটকেসের ভিতরে তরুণীর দেহের নিম্নাংশ পাওয়া গেলেও মুণ্ড-সহ শরীরের উর্দ্ধাংশ এখনও উদ্ধার হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, খুন করার পরে প্রিনসির দেহের নিম্নাংশ খণ্ড করে সুটকেসে ভরে ফেলে অরবিন্দ। তার পরে সুটকেস নিয়ে অটোয় চেপে পৌঁছয় তিতওয়ালা রেলস্টেশনে। ট্রেন ধরে কল্যাণ পৌঁছে সে আবার একটি অটোয় চাপে। তত ক্ষণে সুটকেস থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করেছে। অটোচালক সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ভয়ে সুটকেস ফেলে রেখে পালায় অরবিন্দ।
অটোচালক বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরে সিসি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে চিহ্নিত করেন গোয়েন্দারা। এর পর মালাডের ঠিকানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে প্রিনসিকে খুন করার কথা স্বীকার করে অরবিন্দ।