রাজস্থানের ঢোলপুরে এক অমানবিক কাণ্ড ঘিরে কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে এক ৪০ বছরের ব্যক্তি, এক ১৪ বছর বয়সী নাবালিকাকে কিনে তাকে স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন। যে মেয়েকে বিক্রি করে দেয় ওই নাবালিকারই মায়ের সঙ্গে সহবাসের সম্পর্কে থাকা এক ব্যক্তি। এদিকে, বিয়ের পর থেকে নাবালিকার ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার।
৩ লাখ টাকায় 'কেনা' স্ত্রীকে রোজই অত্যাচার করতেন ওই মাঝ বয়সী ব্যক্তি, বলে অভিযোগ। জানা যায়, ব্যক্তির দাবি ছিল, কেন ওই নাবালিকা সন্তান প্রসব করতে পারছে না? এরপর অত্যাচারের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যেতেই একদিন ৩০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে ঢোলপুর থেকে জয়পুর পর্যন্ত চলে আসে ওই নাবালিকা। এরপরই তাঁকে উদ্ধার করে এক শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি। 'বচপন বাঁচাও আন্দোলন' নামে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। তারপর তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। জানা যায় গোটা ঘটনা। এরপর জয়পুরে সরকারি শেল্টার হোম (মহিলাদের জন্য) ও নাবালিকেকে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হয়েছে, ঢোলপুরের যে পুলিশ স্টেশনের আওতায় এমনটা হয়েছে, সেখানে ওফআইআর লাগু করা হবে।
নাবালিকা জানিয়েছে, একটা সময় সে তার মায়ের হাত ধরে মায়ের সহবাস সঙ্গীর বাড়িতে গিএ ওঠে। সেই সহবাস সঙ্গী ওই নাবালিকাকে 'বোঝা' হিসাবে দেখতেন বলে অভিযোগ নাবালিকার। তাই ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মূলত বিক্রি করে। ওই নাবালিকাকে ব্যক্তি বিয়ে করে রোজই কার্যত বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার বানাতেন। রুখতে গেলে জুটত মারপিট। তারপর অতি সন্তর্পণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ৩০০ কি.মি দূরে জয়পুর পৌঁছয় ওই নাবালিকা।