‘আমি মুকেশ আম্বানির হবু জামাই। আমার জেড-প্লাস সুরক্ষা চাই।’ উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে বিদ্যাঞ্চলে এমনই উদ্ভট আবদার করলেন এক ব্যক্তি। তাঁর সেই আবদারে থতমত খেয়ে গিয়েছেন বিদ্যাঞ্চলের ডিআইজি কার্যালয়ের আধিকারিকরা। যদিও ওই ব্যক্তির দাবি, বিদ্যাঞ্চলে হাজার-হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে। সেজন্য তাঁর সুরক্ষার প্রয়োজন আছে।
ওই ব্যক্তি নিজেকে ডক্টর রবিশ্যাম দ্বিবেদী হিসেবে দাবি করেন। তাঁর কথায়, 'আমার দুই শ্বশুর, দুই শাশুড়ি, দুই শ্যালক এবং দুই স্ত্রী আছে। আমার বড় শ্বশুরের নাম রাকেশ ভাটিয়া, তাঁর স্ত্রী'র নাম প্রিয়া ভাটিয়া। ছোটো শ্বশুরের না মুকেশ আম্বানি। তাঁর স্ত্রী'র নাম নীতা আম্বানি, আমার দুই স্ত্রী। বড় স্ত্রী'র নাম তামান্না ভাটিয়া। ছোটো স্ত্রী'র নাম ইশা আম্বানি। আমার দুই শ্যালক হলেন আকাশ এবং বিশাল আম্বানি।' তবে তিনি আবার দাবি করেন, রিয়ালেন্স ইন্ড্রাস্টির মালিকের মেয়ের সঙ্গে এখনও বিয়ে হয়নি। তবে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছে মুকেশ আম্বানির মেয়ের সঙ্গে। তবে কাগজপত্র এসে পৌঁছায়নি এখনও।
কিন্তু জেড-প্লাস সুরক্ষা চাই কেন?
ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জীবনের ঝুঁকি আছে। পরিবারের লোকজন তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল ২০১৭ সালে। এমনকী মির্জাপুরের পুলিশ সুপার, জেলাশাসকও বিষয়টি জানেন। তাই সেই পরিস্থিতিতে জেড-প্লাস সুরক্ষার প্রয়োজন আছে বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি।
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রতির সঙ্গে আলোচনার দাবি
ওই ব্যক্তির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিমানবন্দর, গ্রিন এনার্জি, এফএম রেডিয়োর মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ডিআইজি কার্যালয়ের আধিকারিকদের বক্তব্য, ওই ব্যক্তির কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছিল যে তাঁর কিছু মানসিক সমস্যা আছে। তাঁকে কোনওরকমে বোঝানো হয়।