আব্রাহাম থমাস
পেট্রোলের বিকল্প খুঁজে পেয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় ফিরে গেলে মার্কিন পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলি তাঁকে নির্যাতন করতে পারে। এমনকীও প্রাণহানিরও আশঙ্কা আছে। তাই তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন এক ব্যক্তি। ভিসার মেয়াদ (আগামী ১৪ জুন শেষ হচ্ছে) বাড়ানোরও আর্জি জানান। যিনি নিজেকে আমেরিকার নাগরিক বলে দাবি করেছেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার অবসরকালীন বেঞ্চ সেই মামলাটি ফের শুনবে। তবে শীর্ষ আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে যে মামলাটি হাইকোর্টে পাঠানো হবে। কারণ ব্যক্তিগত স্তরে আর্জি জানিয়ে একজনের মামলা গ্রহণ করলে অনেকেই সেই রাস্তায় হাঁটবেন। খুলে যাবে ফ্লাডগেট।
ওই মামলাকারী আদতে কে?
ক্লড ডেভিড কনভিসার নামে এক ব্যক্তি সেই মামলা করেছেন। যিনি বিজনেস ভিসায় ভারতে আসেন। আপাতত কেরলে থাকছেন। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তাঁকে যেন অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষাকবচ প্রদান করা হয়। কারণ তিনি হিন্দুধর্ম পালন করেন এবং তিনি অমৃতানন্দময়ী মায়ের শিষ্য। তাঁর কথায়, 'আমি এই দেশ ছাড়তে বাধ্য। আমি এই দেশের বিশ্বাস মেনে চলি। আমি আমার গুরু অমৃতানন্দময়ী মায়ের অধীনেই থাকতে চাই।'
নিজেকে আমেরিকার নাগরিক হিসেবে দাবি করে ওই ব্যক্তি বলেছেন যে নিজের নাগরিকদের রক্ষা করার মতো বলিষ্ঠ হয় প্রতিটি সরকার। যদিও সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলেছে যে 'প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয় যে এই বিষয়টা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। আমরা যদি এরকম পিটিশন শুনি, তাহলে ফ্লাডগেট খুলে যাবে।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন, দাবি ওই ব্যক্তির
সুপ্রিম কোর্টে ওই ব্যক্তি জানান, তিরুবনন্তপুরমের আইনজীবীরা তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। কারণ তাঁর মামলাটি ভারতে আশ্রয় পাওয়ার সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। তারপর ভারতে আশ্রয় দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ৯ মে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি লেখেন বলেন দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
সেই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী মত, সেটা জানতে চায় শীর্ষ আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চ।