কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বন্ধুর সাহায্যে গুহ্যদ্বারে এয়ার কম্প্রেসার প্রবেশ করিয়ে প্রাণ হারালেন মধ্য প্রদেশের উমারিয়ার বাসিন্দা সুখরাম যাদব।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কাটনি জেলার উমারিয়া পঞ্চায়েতের অধীনস্থ ভরোলি গ্রামের এক ডাল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় কাজ করার সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগা সহকর্মী সুখরামের গুহ্যদ্বারে এয়ার কম্প্রেসারের সাহায্যে বাতাস পাম্প করে ঢোকানোর চেষ্টা করেন কারখানার কর্মী বিনোদ ঠাকুর (৩৫)। শনিবার জবলপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুখরামের মৃত্যু হয়।
মাধব নগর থানার প্রধান আধিকারিক সঞজয় দুবে জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩৭ নম্বর ধারায় মারাত্মক আঘাত হানার অভিযোগে বিনোদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। শনিবার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে বিনোদ বলেছেন যে তাঁর সহকর্মী সুখরাম যাদব দীর্ঘ দিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছিলেন। সমস্যা দূর করতে তিনি বিনোদ ঠাকুরকে তাঁর গুহ্যদ্বারের ভিতরে এয়ার কম্প্রেসারের সাহায্যে বাতাস প্রবেশ করানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
বিনোদ স্বীকার করেছেন, ‘ফলাফলের কথা না ভেবে আমি তাঁর গুহ্যদ্বারের ভিতরে এয়ার কম্প্রেসার ঢুকিয়ে দিই। তার পরেই তিনি সংজ্ঞা হারান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে তাঁর উপর তিনটি অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি।’
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে মধ্য প্রদেশের শিবপুরী জেলায় ৪০ বছর বয়েসি এক শ্রমিকের গুহ্যদ্বারে এয়ার কম্প্রেসার প্রবেশ করিয়ে হত্যা করে তিন ব্যক্তি।