স্ত্রীর সঙ্গে ভাড়াটের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ হয়েছিল বাড়ির মালিকের। শুধু সন্দেহ নয়, হাতেনাতে প্রমাণও পেয়েছিলেন। আর তারপরেই ভাড়াটিয়াকে ৭ ফুট গভীর গর্তে জীবন্ত পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই কাজে অভিযুক্তকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর আরও কয়েকজন বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর মূল অভিযুক্ত ও তাঁর বন্ধুদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার রোহতকে। (আরও পড়ুন: '…আমরা সততার পরিচয় বহন করি না', 'যুদ্ধাবস্থায়' থাকা বাংলাদেশ নিয়ে বললেন ইউনুস)
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত জগদীপ পেশায় একজন যোগ শিক্ষক ছিলেন। আদতে ঝাজ্জর জেলার বাসিন্দা। রোহতকের মস্তনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি। ওই শহরেই হারদীপের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অভিযোগ, হরদীপের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। বিষয়টি জানতে পারায়, চরখি দাদরি গ্রামের পান্তাবাসে লোক দিয়ে সাত ফুট গভীর গর্ত খনন করান হরদীপ। খননকর্মীদের জানান, কুয়োর জন্য গর্ত খনন করাচ্ছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর কাজ থেকে ফেরার সময়ে জগদীপকে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে অপহরণ করেন হরদীপ। জগদীপের হাত-পা বেঁধে মারধর করেন তাঁরা। এরপরে মুখ বেঁধে ৭ ফুট কুয়োর মধ্যে ফেলে দেন। তার উপর কাদা চাপা দিয়ে দেন অভিযুক্তেরা।
৩ জানুয়ারি শিবাজী কলোনি থানায় জগদীপের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে পুলিশ কোনও সূত্র পাচ্ছিল না। কিন্তু, দিন কয়েক আগে জগদীপের কলের রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ। তারপরেই হরদীপকে আটক করে তারা। তাঁর বন্ধু ধর্মপালকেও আটক করা হয়। জেরায় তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেন। এরপরে সোমবার জগদীপের দেহ উদ্ধার হয়।এখনও হরদীপের আরও কয়েক জন বন্ধুর খোঁজ করছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, আরও এক থেকে দুইজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: সমীকরণ বদলাচ্ছে, ইউনুসের চিন সফরের আগেই বেজিংয়ে ‘ইতিবাচক’ বৈঠক ভারতের
রোহতক পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (সিআইএ)-র ইনচার্জ কুলদীপ সিং জানান, 'অপহরণের পর দেহ চর্কি দাদরিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্ত হরদীপ ও ধর্মপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হবে।'