কুয়েত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের দূরত্ব প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিয়েই মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিশোধ নিলেন এক বাবা। মেয়ের নিগ্রহকারীকে খুন করার পর একটি সেলফি ভিডিয়োও করেন ওই ব্যক্তি। ভিডিয়োতে স্বীকার করেন নিগ্রহকারীকে খুনের ঘটনাকে। অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামায়া জেলার অবুলাভারিপল্লীতে ঘটেছে এই খুনের ঘটনা। গত ৭ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটানোর পর ফের কুয়েত পালিয়ে যান ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি।
কুয়েত প্রবাসী দম্পতি
ভাইরাল ভিডিয়োতে ওই ব্যক্তি তিনি ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই কুয়েতে চাকরিরত। তাঁদের ছোট মেয়েকে ভারতে শ্যালিকা ও তাঁর স্বামীর কাছে রেখে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে সেখানে সুরক্ষিত ছিল তাঁর মেয়ে। পরে শালীর শ্বশুরের হাতে নিগৃহীত হতে হয় কিশোরীকে।
আরও পড়ুন - শীত পড়লেই সর্বাঙ্গে ব্যথা, সেরা দাওয়াই কী? HT বাংলায় আলোচনায় অর্থোপেডিক সার্জেন
ভাইরাল ভিডিয়োতে গোটা ঘটনার বিবরণ
ভিডিয়োতে ওই প্রবাসী জানান, নিগ্রহকারী তাঁকে ধর্ষণ করতে গেলে বাধা দিয়েছিল কিশোরী। তখন তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়। পরে কোনওরকমে আওয়াজ করতে সক্ষম হয় কিশোরী। তখন পাশের ঘর থেকে প্রবাসী ব্যক্তির শ্যালিকা ছুটে এসে উদ্ধার করেন মেয়েটিকে। ঘটনাচক্রে শ্যালিকার শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েটিকে ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি গোপন রাখতে শাসানো হয়। পরে ঘটনাচক্রে মাকে ঘটনাটি জানিয়েছিল কিশোরী।
আইন হাতে তুলে নেওয়ার কারণ
প্রবাসী ব্যক্তিকে ভিডিয়োতে বলতে শোনা যায়, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম আইন নিজের হাতে নেব না। আমার স্ত্রী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠায়। কিন্তু শ্যালিকা নিজে গিয়ে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানায়।’ প্রবাসী ব্যক্তির দাবি, ‘পরের দফায় ফের তাঁর স্ত্রী থানায় যায়। কিন্তু থানা থেকে বলা হয়, স্ত্রীর বিরুদ্ধেই এবার কেস করা হবে।’
আরও পড়ুন - গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের অন্যতম সেরা কলকাতা মেডিকেল কলেজ! এল বিশেষ অনুদানও
ভিডিয়োতে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই তিনি আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশ চাইলে তিনি সমর্পণ করবেন বলেও জানান।
পুলিশের বক্তব্য
এই ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য অবশ্য আলাদা। পুলিশ সাব ইনসপেক্টর পি মাহেশের কথায়, মেয়েটির মা ও তাঁর বোনের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা ছিল। সেই ঝামেলা থেকেই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদতে একটি পারিবারিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি পুলিশের।