বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ আমেরিকার বুকে ঘটে গিয়েছে অবাক করা এই কাণ্ড। ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত থমাস জেমসের বদলে পুলিশের হাতে সেদিন এসেছিল তখন ২৩ বছরের থমাস রেইনার্ড জেমসের ছবি। ১৯৯১ সালে তাঁকে ধরে তাঁর বিরদ্ধে চার্জ গঠন করে পুলিশ। তিনি দোষী সাব্যস্ত হন ডাকাতির দায়ে।
ঘটনার শুরুটা ১৯৯০ সালের ১৭ জানুয়ারি। সেদিন মিয়ামিতে দুজন ব্যক্তি একটি হোটেলে প্রবেশ করলে সেখানে তাঁদের মধ্যে একজনকে গুলি করে এক ডাকাত। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে ব্যক্তি গুলি করেছে তার নাম থোমাস জেমস বা টমি জেমস। মুহূর্তে পুলিশের হাতে আসে টমি জেমসের ছবি। শুরু হয় তদন্ত।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ আমেরিকার বুকে ঘটে গিয়েছে অবাক করা এই কাণ্ড। ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত থমাস জেমসের বদলে পুলিশের হাতে সেদিন এসেছিল তখন ২৩ বছরের থমাস রেইনার্ড জেমসের ছবি। ১৯৯১ সালে তাঁকে ধরে তাঁর বিরদ্ধে চার্জ গঠন করে পুলিশ। তিনি দোষী সাব্যস্ত হন ডাকাতির দায়ে। শোনানো হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অভিযোগ। তবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কোনও কসরত ছাড়েননি জেমস। জেলে নিজের কেসের তদন্তে তথ্য জোগাড় করতে ব্যস্ত ছিলেন জেমস। জেলের বাইরে লড়াই করেছেন তাঁর মা। আরও পড়ুন-দক্ষিণ চিনসাগরে বেজিংয়ের বাড়বাড়ন্ত দাপটের মাঝে ভারতের নৌসেনা প্রধান খুললেন মুখ
এরপর ২০২২ সাল। '২২ এর এপ্রিলে এসে পাকাপাকিভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে গোটা ঘটনার সত্যতা সামনে আনতে পেরেছেন জেমস। ৩১ বছর ধরে তিনি যে ভুল পরিচিতির জন্য জেল খেটেছেন সেই সত্যিও আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছেন তিনি। আমেরিকার মতো প্রথম বিশ্বের দেশে যেখানে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বময় ক্ষমতাধারী হিসাবে মনে করা হয়, সেই পুলিশের তদন্তে এতবড় 'ভুল' ঘিরে তাজ্জব দুনিয়া। শেষমেশ ৩১ বছর পর জেমস মুক্তি পান। বিষয়টি এরকম দাঁড়ায় যে, শুধুমাত্র 'নাম' এক হওয়ার কারণে আসল দোষী আর নির্দোষকে নিয়ে ভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায় পুলিশ। আপাতত থমাসের আইনজীবী বলছেন সব ভুলে থমাস চান আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে।