বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > 'জেনে বুঝে দলিত মহিলাকে ব্যক্তি ছোঁবেন, তা অবিশ্বাস্য'! শ্লীলতাহানি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ কেরলের কোর্টের

'জেনে বুঝে দলিত মহিলাকে ব্যক্তি ছোঁবেন, তা অবিশ্বাস্য'! শ্লীলতাহানি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ কেরলের কোর্টের

দুটি পর পর শ্লীলতাহানি মামলায় জামিন সিভিল চন্দ্রনের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

অভিযোগ ছিল, লেখক এক লেখিকার সম্মানহানি করে জোর করে চুম্বন করার চেষ্টা করেন। যে লেখিকা একদন দলিত সম্প্রদায়ভূক্ত নাগরিক। যে অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি এস কৃষ্ণকুমারের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে, ‘ এটি বিশ্বাসযোগ্যই নয় যে, জেনে শুনে একজন শিডিউল কাস্ট মহিলাকে তিনি (সিভিল চন্দ্রন) ছোঁবেন। ’

 ২ মহিলার শ্লীলতাহানির পর পর দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল। আর দুটি মামলাতেই দামিন পেলেন কেরলের লেখক সিভিল চন্দ্রন। এই দুই মামলার মধ্যে একটিতে অভিযোগ কারিনী ছিলেন একজন দলিত মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল, লেখক তাঁর সম্মানহানি করে জোর করে চুম্বন করার চেষ্টা করেন। যে অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি এস কৃষ্ণকুমারের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে, ‘ এটি বিশ্বাসযোগ্যই নয় যে, জেনে শুনে একজন শিডিউল কাস্ট মহিলাকে তিনি  (সিভিল চন্দ্রন) ছোঁবেন। ’

উল্লেখ্য, কেরল হাইকোর্ট জনিয়েছে, আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এসসি এসটি অ্যাক্টের আওতায় এই মামলা কিছুতেই দাঁড়ায় না। আদালত বলছে, এই আইনের আওতায় মামলা দাঁড় করানোর জন্য নির্দিষ্ট সার্টিফিকেটও দরকার। যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর কোনও মার্কশিট কিম্বা সার্টিফিকেটে লেখা নেই তিনি দলিত শ্রেণিভূক্ত। উল্লেখ্য, লেখক সিভিল চন্দ্রনকে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। এর আগে বুধবার কোর্টের এক রায়ে তাঁকে আরও একটি শ্লীলতাহানি মামলায় জামিন দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আদালত বলে, যে যদি কোনও মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরেন তাহলে তাঁর দায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা দাঁড়ায় না। এরপর বিতর্কের ঝড় ওঠে। তারপরই সিভিল চন্দ্রনকে নিয়ে নতুন করে আরও এক শ্লীলতাহানির মামলায় জামিন দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। ঘুমন্ত শিশুকে সজোরে বারবার আছাড় দিচ্ছেন জেঠিমা! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য

এদিকে, দলিত লেখিকার দায়ের করা মামলায় আদালত নিজের পর্যবেক্ষণে বলেছে,  'মনে হচ্ছে লেখকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছে'। আদালত এও বলছে যে অভিযোগকারীর তরফে কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা উঠে আসেনি। যদিও তিনি শিক্ষিতা, আইন সম্পর্কে জানেন। ফলে এই মামলা দাঁড়াচ্ছে না। উল্লেখ্য, সিভিল চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪ (এ) ধারা অন্তর্ভূক্ত ছিল। এছাড়াও এসসি এসটি (প্রিভেনশন অফ অ্যট্রোসিটিস) এর আওতা ৩ ও ৩(২) ধারা লাগু হয়। তবে শেষমেশ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান সিভিল চন্দ্রন। 

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন