Man jumps in Pyre: বন্ধুর চিতায় আচমকা ঝাঁপ ব্যক্তির, পুড়ে গেল শরীরের ৯০ শতাংশ, মর্মান্তিক ঘটনায় শোকগ্রস্ত এলাকা

যে বন্ধু ছোটবেলায় সামান্য আড়ি করে দিলেই বেজায় কষ্ট হত, সেই বন্ধুকে অন্তিম যাত্রায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে চিতায় দেখার যন্ত্রণা সহ্য করা অনেকের পক্ষেই কঠিন কাজ। এই বন্ধুত্বের ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের ৪০ বছর বয়সী অশোক কুমার ও ৪২ এর গৌরব সিংয়ের।

বন্ধুর চিতায় ঝাঁপ ব্যক্তির। প্রতীকী ছবি।

বন্ধু হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করা যে কারোর কাছেই খুবই কষ্টকর। যে বন্ধুর সঙ্গে ছোট্টবেলায় খাবার শেয়ার করা, আনন্দ ভাগ করে নেওয়া, বন্ধুর কষ্টে নিজে কষ্ট পাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা থাকে, তাঁর পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার যন্ত্রণা অসহনীয় হয়ে ওঠে অনেকেরই কাছে। আর এই যন্ত্রণাই সহ্য করতে না পেরে এক ব্যক্তি ঝাঁপ দিলেন বন্ধুর চিতায়! ঘটনা উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের।

যে বন্ধু ছোটবেলায় সামান্য আড়ি করে দিলেই বেজায় কষ্ট হত, সেই বন্ধুকে অন্তিম যাত্রায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে চিতায় দেখার যন্ত্রণা সহ্য করা অনেকের পক্ষেই কঠিন কাজ। এই বন্ধুত্বের ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের ৪০ বছর বয়সী অশোক কুমার ও ৪২ এর গৌরব সিংয়ের। শনিবার মৃত্যু হয়েছে বছর ৪০ এর অশোক কুমারের। তাঁর ছোট্টবেলার বন্ধু গৌরব সিং। অশোকের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন গৌরব। ফিরোজাবাদের মাদিয়া নাদিয়া গ্রামে যখন অশোকের দেহ চিতায় জ্বলছে, তখন আচমকা সেখানে ঝাঁপ দিয়ে দেন গৌরব। হুড়োহুড়ো পড়ে যায় এলাকায়। সকলে বাঁচাতে যান গৌরবকে। তখনই দেখা যায় গৌরবের দেহ প্রায় ৯০ শতাংশ জ্বলে গিয়েছে। ভয়াবহ আগুনে আহত অবস্থায় গৌরবকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গৌরবকে নিয়ে আগ্রায় চিকিৎসার জন্য যাওয়া হচ্ছিল। পথেই জীবনের সঙ্গে সব লড়াই শেষ করে মৃত্যু হয় গৌরবের। 

( UKতে বহু ভারতীয় শিক্ষকের নিয়োগের সুযোগ! বেতন কয়েক লাখ, জানুন বিস্তারিত)

পুলিশ বলছে, অশোকের দেহ যখন চিতায় ভস্মিভূত হচ্ছিল, তখন অন্তিম লগ্নে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ধীরে ধীরে সকলে সেখান থেকে চলে যেতে থাকেন। কিন্তু তখনও সেখানে ছিলেন অশোকের বন্ধু গৌরব। তখনই অশোকের চিতায় ঝাঁপ দেন গৌরব। ততক্ষণে সেখানে লোকসংখ্যা কম থাকায় আশপাশের অনেকের পৌঁছতে দেরি হয়। ফলে গৌরবকে বের করে আনতে দেরি হয়। তারফলেই ৯০ শতাংশ দেহ পুড়ে যায় গৌরবের। উল্লেখ্য, গৌরবের পরিবারের সকলে জানান, দুজনেই ছোট থেকে স্কুলের বন্ধু। দুজনের বিয়েও হয়েছে একই দিনে। জানা যাচ্ছে, গৌরব বাজাতে ভালোবাসতেন মঞ্জিরা আর অশোক বাজাতেন ঢোল। একসঙ্গে তাঁদের বাজনা বাজাতে অনেক সময়ই বহু বিয়ে বাড়ি থেকে ডাকা হত। উল্লেখ্য, অশোকের মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারে। আর তাঁর মৃত্যুর খবর সহ্য করতে না পেরে গৌরবও ঝাঁপ দেন অশোকের চিতায়।