প্রথম পক্ষে সন্তানের সঙ্গে থাকতে চাইতেন না তৃতীয় স্ত্রী। আর সেই তৃতীয় স্ত্রীর উসকানিতেই এবার সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করল ২৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। ইন্দোরের ঘটনা। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দেখেছে, তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী এই খুনের ব্যাপারে উসকানি দিতেন। তার জেরেই ওই ব্যক্তি প্রথম পক্ষের সাত বছরের ছেলেকে গলা টিপে খুন করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত বাবার বয়স ২৬ বছর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি রবিবার রাতে তার ছেলেকে খুন করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়ো তিনি তুলে রাখেন। এরপর তৃতীয় স্ত্রীর কাছে সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শশীপাল মুন্ডে। পেশায় তিনি গাড়িচালক। তার ২৩ বছর বয়সি স্ত্রীর নাম মমতা ওরফে পায়েল। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জয়বীর সিং ভাদোরিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই প্রথম পক্ষের ওই সন্তানকে সহ্য় করতে পারত না পায়েল। তা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। পুলিশ জানিয়েছে, মাস তিনেক আগে পায়েলের বাচ্চা হয়েছিল। তিনি স্বামীকে বলেছিলেন, আগের পক্ষের ছেলেকে সরিয়ে না দিলে বা খুন না করলে তিনি ওই বাড়িতে ঢুকবেন না। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নেয় যুবক। শশীপালের মোবাইল থেকে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে খুন করে সেই ভিডিয়ো পায়েলের মোবাইলে পাঠিয়েছিল শশীপাল। কিন্তু পায়েল শশীপালের নম্বর ব্লক করে রেখেছিলেন। সেকারণে তিনি তা দেখতে পাননি। মুন্ডে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছে, ভিডিয়ো করে পায়েলকে পাঠিয়েছিলাম। বলেছিলাম দেখো খুন করে ফেলেছি ছেলেকে। আর তোমায় কেউ জ্বালাবে না। এদিকে পায়েলের দাবি তিনি কোনওদিন ছেলেকে খুন করার জন্য বলেননি।
তবে গোটা ঘটনায় শিউরে উঠেছেন অনেকেই। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup