ভয়াবহ কাণ্ড! রাঁচির কোলেবিরা থানা এলাকায় এক আদিবাসী যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে হত্য়া করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। ওই যুবকের নাম সঞ্জু প্রধান। মধ্য তিরিশের ওই যুবককে একেবারে নারকীয়ভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গাছ কাটা ও কাঠ বিক্রির অভিযোগে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে দমকল এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পুলিশ আধপোড়া দেহটি উদ্ধার করেছে। কোলেবিরা থানার আধিকারিক রামেশ্বর ভগৎ বলেন, দুপুর ২টো থেকে ২.৩০র মধ্যে ঘটনাটি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেটুকু জানা যাচ্ছে ঘটনার সময় অন্তত ৫০০ জন গ্রামবাসী এলাকায় ছিলেন। আমরা সঞ্জু প্রধানের আধপোড়া দেহ উদ্ধার করেছি। মাওবাদীদের সঙ্গে তার যোগ সূত্র রয়েছে বলে আগের তিনটি মামলা ছিল। অতীতে সে জেলও খেটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। একটি মামলা রুজু করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে অন্তত ৫০০জন সেই সময় উপস্থিত ছিল। সেক্ষেত্রে কাকে গ্রেফতার করা হবে তা দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বেআইনীভাবে গাছ কাটার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। বনদফতরে তার বিরুদ্ধে কয়েকজন অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেব্য়াপারে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ চড়ছিল।
এদিকে গত মাসেই ঝাড়খন্ড বিধানসভায় গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইন পাস হয়েছে। গত শনিবারও আদিবাসী পরিবারের দুই ভাইকে গুমলা জেলায় গণপিটুনি দেওয়া হয়। তার মা ডাইনী এই অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করা হয়েছে। এর জেরে এক ভাইয়ের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।