বিহারের পুলিশ প্রধানকে ফোন করেছিলেন পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি সেজে! এই কাণ্ডের জেরে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিট ৪২ বছর বয়সী অভিষেক অগরওয়ালকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও এই ভুয়ো সেজে ঘুরেবাড়ানো চক্রের আরও ৩ জনকে নিজের জালে নেয় পুলিশ।
মূল ঘটনার সূত্রপাত গয়ার এক পুলিশ অফিসারকে ঘিরে। তিনি সেই সময় গয়ার এসএসপি পদে ছিলেন। অভিযোগ, তিনি স্থানীয় মদের চোরাকারবারীদের সঙ্গে মিলে গোপনে যোগসাজশ করছিলেন। আর তিনি অভিযুক্ত হতেই, অভিষেক অগরওয়াল পাটনার ভুয়ো বিচারপতি সেজে পুলিশকে ফোন করে ওই অফিসারকে ছেড়ে দেওার নির্দেশ দেন। এই ঘটনা ঘিরে গোটা চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। ঘটনা ঘিরে ২০১১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার আদিত্য কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। এছাড়াও গৌরব রাজ, শুভম কুমার, অভিষেক আগরওয়ালদের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে এফআইআর। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভুয়ো ব্যক্তিত্ব সাজা, তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, যে অভিষেক আগরওয়ালের বিরুদ্ধে এই ভুয়ো বিচারপতি সেজে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে ফোন করার অভিযোগ রয়েছে, সেই অভিষেক আগরওয়ালকে বহু আইপিএস অফিসারের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার সঙ্গে বহু আইপিএস অফিসারের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিট।বিহার পুলিশ বলছে, পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সেজে পাটনার পুলিশ প্রধানকে ফোন করে আদিত্য কুমারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানায় ওই অভিষেক আগারওয়াল। এছাড়াও পুলিশকে সে নির্দেশ দিতে থাকে, যাতে আদিত্যকে ভালো জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হয়। তাছাড়াও আদিত্যের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।