৩৪ বছর বয়সী হরিশ বাঙ্গেরা। এয়ার কন্ডিশনারের টেকনিশিয়ান। সৌদিতেই কাজ করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহীতার অভিযোগ উঠেছিল। ফেসবুক পেজে তিনি মক্কা ও সৌদির রাজার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয় সৌদি আরবে। এদিকে তাঁর স্ত্রী কর্ণাটকের উদুপিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, যে অ্যাকাউন্টটি থেকে এই পোস্ট করা হয়েছে সেটি ফেক। তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর স্ত্রীর দাবি, সিএএ নিয়ে কিছু পোস্ট করেছিলেন তাঁর স্বামী। পরবর্তী সময়ে ক্ষমা চেয়ে সেগুলিকে মুছেও ফেলা হয়েছিল। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই ফেক অ্য়াকাউন্ট খুলে হরিশকে ফাঁসানো হয়।
এদিকে কর্ণাটক পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে আব্দুল হুয়েজ ও আব্দুল থুয়েজ নামে দুই ব্যক্তি ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে এই ধরনের পোস্ট করেছিল। তারা উদুপির বাসিন্দা। এরপরই পুলিশ ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তারা স্বীকারও করে নেয় যে তারাই হরিশের নামে করে ফেক অ্য়াকাউন্ট খুলেছিল। কর্ণাটক পুলিশ ও ভারতীয় দূতাবাস সেখানকার আদালতে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিল। এদিকে কর্ণাটকের সেই তদন্তের উপর ভিত্তি করেই হরিশকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তাঁর পরিবার। বুধবারই বেঙ্গালুরুতে ফিরে আসেন হরিশ।
হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশকে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো ভাষা আমার নেই। উদুপি পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। কোভিড পরিস্থিতি না হলে আমি আরও আগে মুক্তি পেতাম। তবে যে কোম্পানিতে তিনি কাজ করতেন সেখানে ফের তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি দেশেই ফিরতে চেয়েছিলেন।