ডাকযোগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাকনামা পাঠিয়ে দুবাইয়ে পিঠটান দিল স্বামী। তার সন্ধানে তদন্তে নেমে পিছু ধাওয়া করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
রবিবার ডিএসপি (আইন ও শৃঙ্খলা) অলোক রঞ্জন জানিয়েছেন, ‘জামশেদপুরের বাসিন্দা হাসিবুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে শনিবার সন্ধ্যায় জিগসলাই থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৫০৪ ও ৩৪ নম্বর ধারা, পণ দমন আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারা এবং মুসলিম নারী (বিবাহ অধিকার সুরক্ষা) আইনের ৪ নম্বর ধারায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। মাঙ্গো থানার অধীনে জাকিরনগরে তার বাড়িতে আমরা হানা দিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে তার ভাই জানায় যে দুই দিন আগে সে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তার দ্বিতীয়া স্ত্রী রশিদা খাতুন অভিযোগপত্রে জানিয়েছিলেন যে রবিবার ভারত ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে হাসিবুল্লাহ। তাকে ফের ভারতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।’
রশিদা খাতুনের পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিআইজি কোলহান এবং পূর্ব সিংভূম জেলার ডিসি-কে টুইট করে সবিস্তারে জানান মহিলা বিকাশ মঞ্চের নেত্রী নিশাত খাতুন। এর পরেই জামশেদপুরের এসএসপি তামিল ভনানকে বিষয়টি সম্পর্কে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় রাজ্য পুলিশ। ডিএসপি-র (আইন ও শৃঙ্খলা) নেতৃত্বে বিশেষ দল তৈরি করে এই বিষয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করেন এসএসপি।
ইতিমধ্যে এফআইআর-এর কপি ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য-সহ হাসিবুল্লাহর নিয়োগকারী সংস্থা এমাইরেটস স্টিল-কেও সব কিছু জানিয়েছেন নিশাত খাতুন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভারতে ডাক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোনে তালাকদেওয়া অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন।
রশিদার অভিযোগ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে ডাকযোগে তালাকনামা পাঠায় হাসিবুল্লাহ। এ ছাড়া, নিজের প্রথম বিয়ের কথাও সে গোপন করেছিল বলে দাবি করেছেন দ্বিতীয়া স্ত্রী।
বিয়ের ছয় মাস পরে আবু ধাবিতে নিয়ে গিয়ে রশিদাকে প্রথম বিয়ের কথাজানিয়েছিল হাসিবুল্লাহ খান। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর ও মানসিক নিগ্রহ করে সে, অভিযোগ রশিদার। একই সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের থেকে ৫লাখ টাকা আনার জন্যও সে বার বার চাপ দিতে থাকে।