বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > মুম্বই থেকে হেঁটে বারাণসী পৌঁছলেও যুবককে বাড়িতে ঢুকতে দিল না পরিবার

মুম্বই থেকে হেঁটে বারাণসী পৌঁছলেও যুবককে বাড়িতে ঢুকতে দিল না পরিবার

মুম্বই থেকে ১,৬০০ কিমি হেঁটে বারাণসীতে বাড়ি পৌঁছলেন যুবক।

মুম্বই থেকে রওনা হওয়ার আগে নিজের পরিকল্পনার কথা বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন অশোক। সে কথা পাড়ায় জানালে হইচই শুরু হয়ে যায়।

লকডাউনের মাঝে মুম্বই থেকে ১,৬০০ কিমি হেঁটে বারাণসীতে বাড়ি পৌঁছলেন যুবক। কিন্তু তবু দরজা খুললেন মা, দাদা ও বৌদি।

মধ্য মুম্বইয়ের নাগপাড়া এলাকায় এক হোটেলে কাজ করতেন বারাণসীর বাসিন্দা অশোক কেশরী। করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে ৬ বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নেন অশোক।

এ দিকে লকডাউনের ফলে পরিবহণ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেন বা বাস কিছুই না পেয়ে শেষে ১,৬০০ কিমি হেঁটে বারাণসী পৌঁছবেন বলে ঠিক করেন তাঁরা। পকেটে কিছু টাকা সম্বল করে জাতীয় সড়ক ও রেললাইন ধরে তাঁরা হাঁটা শুরু করেন।

পথে বিশ্রাম নিতে কখনও থেমে যাওয়া রেলকামরা অথবা গাছের নীচে তাঁরা রাত কাটান। শেষে ১৪ দিন হেঁটে পৌঁছন বারাণসী। শহরের সপ্তসাগর, দাওয়া মন্ডি অঞ্চলে নিজের বাড়ি পৌঁছলেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি অশোক। অনেক ডাকাডাকিতেও সংক্রমণের আশঙ্কায় দরজা খুলতে চাননি তাঁর মা, দাদা অথবা বৌদি।

পরিবারের দাবি, ভিনরাজ্য থেকে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাস সম্পূর্ণ না করলে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শহরে প্রবেশের পরে অবশ্য প্রথমেই হাসপাতালে গিয়ে নিজেদের পরীক্ষা করিয়েছিলেন অশোক ও তাঁর বন্ধুরা। রিপোর্ট নেগেটিভ মেলায় তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মুম্বই থেকে রওনা হওয়ার আগে নিজের পরিকল্পনার কথা বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন অশোক। সে কথা পাড়ায় জানালে হইচই শুরু হয়ে যায়। বাড়ি পৌঁছলেও তাঁকে ঢুকতে না দিতে তাঁর পরিবারকে কড়া নির্দেশ দেন স্থানীয়রা। এই কারণে পরিবার তাঁকে দরজা খুলে দেয়নি। সারাদিন বাড়ির বাইরে বসে থেকেও কোনও উপায় খুঁজে পাননি বিপন্ন যুবক।

এই অবস্থায় অশোককে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তাদের সাহায্যেই শহরের বাইরে অস্থায়ী পুলিশ হাসপাতালে তাঁর ঠাঁই হয়। আপাতত সেখানে কোয়ারেন্টাইন রয়েছেন অশোক। তবে তাঁর নমুনায় করোনা সংক্রমণের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বন্ধ করুন