আমেরিকা প্রবাসী ভারতীয় নরেশ ভাট। প্রায় চার মাস ধরে তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।এদিকে সেই ব্যক্তি গুগলে সার্চ করে দেখার চেষ্টা করছিলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পরে ফের বিয়ে করা যায়। আর সেই স্বামীর বিরুদ্ধেই এবার স্ত্রীকে খুনের মামলা রুজু করা হল।
প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্ট গ্র্যান্ড জুরির ৩৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। সূত্রের খবর তাঁর স্ত্রীর নাম মমতা ভাট। তাঁর দেহ মেলেনি। কিন্তু তদন্তকারীরা ওই মহিলার দেহ পায়নি। তবে ঘরে রক্তের কিছু নমুনা মিলেছে। তার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে যে তাঁর স্ত্রীর ডিএনএ ওই রক্তের নমুনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে।
২৮ বছর বয়সি ওই মহিলাকে গত চার মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না। দেখা গিয়েছে নরেশ গুগলে সার্চ করে দেখেছেন যে স্ত্রী মারা যাওয়ার কতদিন পরে স্বামী বিয়ে করতে পারেন। সেই সঙ্গেই তিনি গুগলে সার্চ করেছিলেন যে মৃত স্ত্রীর ধারগুলির কী হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসে তেমনই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে কি স্ত্রীর নিখোঁজ আর নরেশের গুগলে সার্চের মধ্য়ে কোনও যোগসূত্র রয়েছে? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এপির সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, পুলিশ আধিকারিক মারিও লুগো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই আমরা বলছিলাম যে এটা খুনের ঘটনা। দেহ না পাওয়ার বিষয়টির জেরে আমাদের মামলা আরও শক্তপোক্ত হবে।
মমতা ভাট ওই দেশের একজন নার্স ছিলেন। তাঁকে গত চার মাস ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর থেকেই নেপালের বাসিন্দা তাঁর পরিবারের লোকজন নানাভাবে খোঁজার চেষ্টা করেন। তবে মমতা মিসিং হয়েছিলেন গত জুলাই মাসে। তার তিন সপ্তাহ পরেই নরেশকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল।