এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ধূমপান করেছিলেন এক যাত্রী। রত্নাকর দ্বিবেদী নামে ওই যাত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল আদালত। কিন্তু তিনি জরিমানা দিতে চাননি। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন তিনি জেলে যাওয়ার জন্য় তৈরি। এরপরই আদালত তাকে জেলে পাঠিয়েছে। সেকশন ৩৩৬ অনুসারে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডন-মুম্বই ফ্লাইটের শৌচাগারে তিনি ধূমপান করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনি অভব্য ব্য়বহারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাকে জরিমানা করে আদালত। কিন্তু সেই জরিমানা দিতেও অস্বীকার করলেন তিনি।
এর সঙ্গেই তিনি আদালতে জানান, অনলাইনের মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন ৩৩৬ ধারা অনুসারে তার ২৫০ টাকা জরিমানা হওয়ার কথা। সেটা তিনি মিটিয়ে দিতে তৈরি। কিন্তু এত টাকা জরিমানা তিনি দেবেন না।
এরপরই আন্ধেরি মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৩ মার্চ জেলে পাঠিয়েছে।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ফ্লাইটের শৌচাগারে ওই যাত্রীকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছিল। ধরা পড়ার পরেও তিনি মেজাজ দেখাচ্ছিলেন। বার বার তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শোনেননি।
এদিকে মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যাত্রী বিমানে নানাভাবে ডিসটার্ব করা শুরু করেছিলেন। এর জেরে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। এমনকী পাইলটের কোনও বারণ তিনি শুনতে চাননি। কোনওভাবেই তিনি শান্ত হতে চাননি। তবে এবার তিনি জরিমানাও দিতে চাননি।
এদিকে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন বিমানে সিগারেট খেয়ে নিয়ম ভঙ্গ করেছেন অনেকে। তবে এটা অত্যন্ত ঝুঁকির বলেই মনে করা হয়। ইন্ডিগোর ফ্লাইটে এক তরুণী গত ৫ মার্চ রাতে টয়লেটে ধূমপান করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ওই মহিলার নাম প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী।তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এদিকে ফ্লাইটটি ল্যান্ড করার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে অথরিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
এদিকে টয়লেট থেকে সিগারেটের টুকরোটাও পাওয়া গিয়েছিল। কেবিন ক্রু দ্রুত গিয়ে তাতে জল ঢেলে নিভিয়ে দেন। কিন্তু কীভাবে ব্যাপারটি জানাজানি হল। সূত্রের খবর বাথরুমের দরজা বন্ধ ছিল। আচমকাই সিগারেটের গন্ধ পান এক কেবিন ক্রু। তিনি এরপর বাথরুমের দরজা খোলার জন্য় অনুরোধ করেন। তারপর তিনি দ্রুত দরজা জোর করে খুলতে বাধ্য হন। এরপর দেখা যায় ওই মহিলা ধূমপান করছেন।