আশা ছাপিয়ে আটবছর দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করার পর শেষ পর্যন্ত জ্বালানি ফুরিয়ে গেল মঙ্গলযানের। এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘মার্স অরবিটার মিশন’-এর জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলযানের মেয়াদ হওয়ার কথা ছিল ৬ মাস। তবে দেখতে দেখতে তা কাজ করল প্রায় আট বছর। স্যাটেলাইটের ব্যাটারির শক্তিও শেষ বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গ্রহণের মুখোমুখি হয় মঙ্গলযান। এদিকে মঙ্গলযানের এই ব্যাটারি তৈরি হয়েছিল সাত ঘণ্টার গ্রহণের আঁধার সহ্য করার জন্য। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিজের কর্মজীবনে মঙ্গলের কয়েক হাজার ছবি পাঠিয়েছে। মঙ্গলযানের পাঠানো তথ্যের উপর নির্ভর করে বহু জার্নাল প্রকাশ করেছে ইসরো। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র ফার্স্ট লঞ্জ প্যাড থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি মার্চের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। মঙ্গলযান অত্যন্ত কম খরচে তৈরি করা হয়েছিল। হলিউডের গ্র্যাভিটি সিনেমার থেকেও কম খরচে তৈরি হয়েছিল যানটি। খরচ হয়েছিল মাত্র ৪৫০ কোটি টাকা। মহাকাশযানটি পাঁচটি যন্ত্র ছিল – মার্স কালার ক্যামেরা, থার্মাল ইনফ্রারেড ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার, মিথেন সেন্সর ফর মার্স, মার্স এক্সোস্ফেরিক নিউট্রাল কম্পোজিশন অ্যানালাইজার এবং লাইম্যান আলফা ফটোমিটার।
এদিকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে আরও একটি মহাকাশযান ফাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইসরো। ২০২১ সালে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে সিভান জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযান-৩ অভিযানের পরই ভারত মঙ্গলযান-২ অভিযান করবে।