২০১৮ সালের আগে ত্রিপুরায় কোনও বিধানসভা আসন জেতেনি বিজেপি। তবে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম জমানায় ইতি টেনে গেরুয়া শাসন শুরু হয় সেই রাজ্যে। তবে তাল কাটে মাঝপথে। এই আবহে ২০২২ সালে সেই রাজ্যের পুরভোটের পর প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থেকে গদি বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি। বিপ্লব দেবের স্থানে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ডঃ মানিক সাহাকে। সেই মানিকের নেতৃত্বেই বাম নেতা মানিক সরকার এবং তিপ্রা মোথার প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার চ্যালেঞ্জ সামলে জয় পায় বিজেপি। তবে এর মাঝেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। কারণ এবারের নির্বাচনে লড়েছিলেন প্রতিমা ভৌমিক। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকারের আগের আসন থেকে জয়ী হন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে অবশেষে মানিকেই ভরসা রাখে বিজেপি। (আরও পড়ুন: OPS নিয়ে 'বিজেপির সুর' রঘুরাম রাজনের গলায়, কী বললেন প্রাক্তন RBI প্রধান?)
ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক ১০ মাস আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মানিক সাহা। পেশায় তিনি দাঁতের ডাক্তার। পটনার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি ডেন্টাল সার্জারিতে মাস্টার ডিগ্রি পেয়েছিলেন। বিগত দিনে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ডেন্টাল সার্জারির প্রফেসর হিসাবেও কর্মরত ছিলেন। আগরতলায় ডাঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালেও শিক্ষকতা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলের রাজ্য সভাপতি পদে বেশ কয়েকদিন ছিলেন তিনি। তিনি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি। এহেন উচ্চশিক্ষিত মানিক সাহা আগরতলার বিবেকানন্দ গ্রাউন্ডে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট আয়োজিত হয়। ৮৭.৬ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েই ত্রিপুরা দখল করে বিজেপি। ত্রিপুরায় বিজেপি ৩২টি আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। এদিকে তাদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি জিতেছে মাত্র একটি আসনে। তবে ম্যাজিক ফিগার ৩১-এর দুটি আসন ওপরে থেকে এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে গেরুয়া শিবির। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সোমবার নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়করা মানিক সাহাকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন।