উৎপল পরাশর
মণিপুর সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি একাধিক আদিবাসী গ্রুপ ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য তিনি নানা আলোচনা করেন।
ভারত-মায়নামার সীমান্তবর্তী এলাকাতেও যান তিনি। কুকি সহ একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসেন। পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন।
টুইট করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, কুকির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি মিটিং করেছি। মণিপুরে শান্তি বজায় রাখতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য় সরকারের উদ্যোগে তারা সবসময় সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন। মোরে এলাকায় তিনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
অসম রাইফেলসের সদর দফতরে এই মিটিং হয়। সেখানে কুকি সম্প্রদায় একগুচ্ছ দাবিপত্র তাঁর কাছে জমা দেন। সেই দাবির মধ্যে অন্যতম আদিবাসী, কুকির জন্য পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা, মোরে থেকে মণিপুর পুলিশ কমান্ডোদের তুলে নেওয়া, মোরে থেকে আইজল ও গুয়াহাটি পর্যন্ত হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা সহ একাধিক দাবি তারা রেখেছেন।
গোর্খা ও তামিল সম্প্রদায়ের সঙ্গেও অমিত শাহ আলোচনা করেন। তিনি কাংপোকপিতে গিয়েছিলেন। তিনি একটি ত্রাণ শিবিরেও যান। শাহ বিকালে ইম্ফলে ফিরে আসেন। এরপর তিনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিভিউ মিটিং করেন। এরপর তিনি ত্রাণ শিবিরও পরিদর্শন করেন।
তিনি অপর একটি টুইট করে লিখেছেন, কাংপোকপি এলাকায় একটি রিলিফ ক্যাম্পে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে কুকি সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। মণিপুরে যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফেরাতে আমি বদ্ধপরিকর।তাঁদের বাড়ি ফেরানোটা নিশ্চিত করছি।
সোমবার রাতে চার দিনের সফরে ইম্ফলে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন শাহ, পদস্থ আধিকারিক, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেন।
মঙ্গলবার তিনি রাজনীতিবিদ, আমলা, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এদিকে সেই ৪ মে থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত এই ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে।
এদিকে আইটিএলএফের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, রাজধানীতে মৈতেয়ীদের বিদ্রোহী গ্রুপ সরকারি অস্ত্র লুঠের ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত।