সপ্তর্ষি দাস
এখনও অশান্ত মণিপুর। মণিপুরের ওই ভিডিয়ো কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। গণধর্ষণের পরে নগ্ন অবস্থায় প্রকাশ্য়ে রাস্তায় দুই মহিলাকে হাঁটানোর অভিযোগ। এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। তবে এবার গোটা ঘটনা রাজ্যসভায় তোলার অনুমতি না মেলায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি জানিয়েছেন, রুল ২৬৭ নিয়ে বলার সুযোগ দেওয়া হল না। কাল আপনি বলবেন সময় মতো আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি। মণিপুর জ্বলছে। আর আমায় বলতে দিচ্ছেন না। মহিলারা ধর্ষিতা হচ্ছেন, নগ্ন অবস্থায় হাঁটানো হচ্ছে। আর মোদী নীরব।
এরপর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দেন, লিডার অফ দ্য় হাউজের সঙ্গে কথা বলেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরপরই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই বিরোধীরা কার্যত হট্টগোল শুরু করে দেন সংসদে।
ধনখড় জানিয়ে দেন, মণিপুর ইস্যু নিয়ে কম সময় ধরে আলোচনার দাবি করছেন অনেকেই। সদস্যরা এই ইস্যুতে কথা বলতে চান। তবে এটা তিনটি পর্যায়ে হবে। প্রত্যেক সদস্যকে অল্প কথায় বলার জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। তবে কবে ও কোন সময়ে হবে তার জন্য লিডার অফ দ্য হাউসের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তবে মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানিয়েছিলেন, সরকার মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য় তৈরি। এই নোটিশ গ্রহণ করতে কোনও সমস্যা নেই।
তবে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন এরপর কার্যত ফুঁসে ওঠেন। তিনি বলেন, স্যার আমি খুব দুঃখিত। আপনি খালি পদ্ধতির কথা বলেন। লিডার অফ দ্য হাউস কীভাবে আচমকা জেগে উঠবেন আর বলবেন আলোচনা করা হোক!
তৃণমূল এমপি ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, কোনও ১৭৬ এর ব্যাপার নেই। আমরা চাই মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে মুখ খুলতে হবে। কার্যত বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই মণিপুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল সংসদ।