সদ্য মণিপুরে ১০ সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গির মৃত্যুর পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তাল হওয়ার দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মৃত্যুর পর থেকে মণিপুরে ৩ শিশু ও ২ মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে ২০ কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স পাঠানো হয়েছে। অঙ্কের হিসাব আরও স্পষ্ট করলে, ফোর্সের ২,৫০০ জনকে সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে।
মণিপুরে ক্রমেই নতুন করে ফের হিংসা বাড়ছে। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, মণিপুরে হিংসা একপ্রকার স্রোতের মতো করে হয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, ২০ কোম্পানি সিআরপিএফ ও বিএসএফের ৫ কোম্পানি ফোর্স মণিপুরের নানা সংবেদনশীল জায়গায় মোতায়েন করা হবে। উল্লেখ্য, মণিপুরে গত বছর থেকেই জাতিদাঙ্গা চলছে। সেই সময় অনেককেই ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়। এদিকে, সদ্য পাওয়া খূর অনুযায়ী, ত্রাণ শিবির থেকে মোট ৬ জন মেইতেই সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রিপোর্টের দাবি, জঙ্গিরা, এক মেইতেই মহিলা, তাঁর দুই সন্তান, এবং তিন নাতি নাতনিকে সোমবার অপহরণ করে। এই ছয় সদস্য ছিলেন ঘর ছাড়া। জাতিদাঙ্গা ঘিরে যে ৫০ হাজার মানুষ মণিপুরে ঘর ছাড়া, তাঁদের মধ্যে এই ৬ জনও ছিলেন।
জ্বালানো হল ট্রাক:-
এদিকে, মণিপুরের তামেংলং এলাকায় দুটি ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এই ট্রাক জ্বালিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জানা গিয়য়েছে, এই ট্রাকে ছিল বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী। রংমেই নাগা সম্প্রদায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। এই ট্রাক জ্বালানোর ঘটনারও অভিযোগ কুকিদের বিরুদ্ধে।
বনধের খবর:-
মণিপুর থেকে রাজ্যসভার সদস্য সানাজাওবা লেইশেমা এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন জানান। এদিকে, ক্রমেই উত্তাল হতে চলা মণিপুরের পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে ১৩ টি সংগঠন। সদ্য মণিপুরের জিবরিমে পরিস্থিতি তপ্ত হতে থাকে। সদ্য মণিপুরে ১০ সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এনকাউন্টারে। এরই মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। সেই সূত্র ধরেই ১৩ টি সংগঠন ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকে। যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মণিপুরে। খোয়াইরামবন্দ মার্কেট, মণিপুরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র, বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। কারণ, বনধ সমর্থকরা বাজার এবং আশেপাশের এলাকা জুড়ে বনধ কার্যকর করেছিল। ইম্ফলে জন পরিবহণ কার্যত সকাল থেকে স্তব্ধ। এদিকে, বন্ধ রয়েছে রাজ্যের বহু স্কুল, কলেজও। ১৩ টি সংগঠনের মুখপাত্র শান্তা নাহাকপাম, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার কড়া নিন্দা করেন। তাঁর দাবি, এই হামলা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। তিনি এক যুবতীর মৃত্যু ও অপহরণের ঘটনার ও তীব্র নিন্দা করেন।