ছাত্রদের রাজভবন অভিযান ঘিরে মণিপুরে ফের হিংসার ছবি। এদিন, ছাত্রদের রাজভবন অভিযান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের সংঘাতের ছবি দেখা যায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৪০ জন পড়ুয়া। এদিকে, মণিপুরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকছে আগামী ৫ দিন। ফলে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মণিপুরে সমস্ত জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই মণিপুরে একের পর এক ড্রোন হামলায় বোমা বিস্ফোরণের খবর আসতে থাকে। যা ঘিরে ফের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় দাঙ্গা বিধ্বস্ত ওই রাজ্যে। ইতিমধ্যেই জাতি দাঙ্গায় বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মণিপুর। তারপর নতুন করে এই হামলা সেই ক্ষতকে নতুন যন্ত্রণা যোগ করেছে। এদিকে, রাজ্যে এমন পরিস্থিতি নিয়ে ডিজিপি ও রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়ে ছাত্ররা এদিন রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। এছাড়াও এই ড্রোন ও মিসাইল হামলার নেপথ্যে, কারা রয়েছে, তাদের শাস্তির দাবিতে সরব হন ছাত্ররা। পড়ুয়াদের সঙ্গে এদিন যোগ দেন মহিলারাও। এরপর ইম্ফলের বিটি রোডে তাঁদের আটকায় পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘাত হয়। বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, প্রতিবাদীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, মার্বেলের গোলা, পাথর বর্ষণ করেন। বিক্ষোভ মুহূর্তে হিংসার চেহারা নেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।
( INDI জোট নাকি INDIA জোট… কোনটা ঠিক? US-এর অনুষ্ঠানে রাহুল উত্তর দিতেই মশকরার মুডে বিজেপি)
এদিকে, মণিপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রতিবাদে আলাদা করে অংশ নেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তাঁরাও অভিযানে সচিবালয়ের দিকে যান। তাঁদের পশ্চিম ইম্ফলের কাকওয়ার কাছে রুখে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণিপুরে অশান্তির আবহে আগামী ৫ দিন ধরে মোবাইল ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড সহ সমস্ত ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। মণিপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি নোটিস জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। নোটিসে বলা হয়েছে, কোনও প্রকারের ভুয়ো খবর, উস্কানিমূলক খবর, প্রাণঘাতী হতে পারে, জন ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করতে পারে, এছাড়াও তা সাম্প্রদায়িক হিংসা ডেকে আনতে পারে বা স্বাভাবিক জনজীবনকে নষ্ট করতে পারে, বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সেরাজ্য়ের শিক্ষা দফতর ঘোষণা করেছে যে মণিপুরের সমস্ত সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং বেসরকারী স্কুল ও কলেজ ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর,২০২৪-এ বন্ধ থাকবে।