দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি নেতা মণীশ সিসোদিয়ার নাম সিবিআই চার্জশিটে। দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিল মণীশ সিসোদিয়া। এরপরই তাঁর মন্ত্রিত্বও গিয়েছে। এবার সিবিআই চার্জশিটে অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল তাঁর নম। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই মামলায় সাপলিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে মণীশ সিসোদিয়া ছাড়াও নাম রয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতার প্রাক্তন অডিটর বুচি বাবুর। প্রসঙ্গত, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে হলেন কে কবিতা। তাঁকেও এই মামলায় জেরা করেছে সিবিআই। তাছাড়া এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে অর্জুন পাণ্ডে এবং অমনদীপ ঢালের।
এদিকে এই মামলায় আরও যেসকল অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এই কেলেঙ্কারির বিষয়ে নয় ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তাঁকে অবশ্য 'সাক্ষী' হিসেবে তলব করা হয়েছিল। এদিকে এই গোটা কেলেঙ্কারিকে 'সাজানো ঘটনা' বলে আখ্যা দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ, আম আদমি পার্টি জাতীয় দলের তকমা পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এর আগে আদালতে মণীশ সিসোদিয়াও দাবি করেছিলেন যে তিনি নির্দোষ।
প্রসঙ্গত, আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় এফআইআর রুজুর প্রায় ছয় মাস পর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল মণীশ সিসোদিয়াকে। এখনও পর্যন্ত এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণীশ সিসোদিয়া ছাড়া বাকি ৯ জনই অবশ্য আপাতত জামিনে মুক্ত। এদিকে মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে আম আদমি পার্টি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দিল্লিতে নয়া আবগারি নীতি চালু করা হয়েছিল। তবে পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এই আবহে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা এই আবগারি নীতির সঙ্গে দুর্নীতির যোগের সন্দেহ করেন এবং সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতেই বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে এই মামলায় তদন্ত করে চলেছে সিবিআই। অভিযোগ, সরকারের এই নীতি নির্ধারণে প্রভাব খাটিয়েছিল মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এর ফলে তাদের ১২ শতাংশ লাভ বেড়েছিল। এর বদলে 'সাউথ গ্রুপ' নামক গোষ্ঠী আম আদমি পার্টিকে আর্থিক সাহায্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের 'ঘুষ' দিয়েছিল। এই আবহে এই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে ইডি-ও ময়দানে নেমেছে।