ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর থেকেই নানা বিষয়ে রাজনৈতিক তরজা জারি আছে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্যে অব্যবস্থা ছিল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির পালটা বক্তব্য এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। পাশাপাশি মনমোহন জমানায় কীভাবে সোনিয়া গান্ধী 'সুপার পিএম' ছিলেন, তা মনে করিয়ে দিয়ে পালটা তোপও দেগেছে বিজেপি। এই সবের মাঝেই এবার কংগ্রেসের পবন খেরা 'তথ্য' তুলে ধরে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ শানালেন। (আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারের 'সময়সীমা' যেন বেঁধেই দিলেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা…)
আরও পড়ুন: BSF-এর কপালে চিন্তার নয়া ভাঁজ, ভারতীয় ফসল কেটে 'পেট ভরাচ্ছে' বাংলাদেশিরা!
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক দীর্ঘ পোস্ট করে পবন খেরা লেখেন, 'পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ডঃ মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং অসম্মানের অবাক করা নিদর্শন ছিল - দূরদর্শন ছাড়া অন্য কোনও খবরের চ্যানেলকে সেখানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। এবং দূরদর্শন মোদী এবং শাহকেই বেশিরভাগ সময় দেখিয়ে গিয়েছে। তারা ডঃ মনমোহন সিংয়ের পরিবারতে প্রায় দেখায়নি। মনমোহন সিংয়ের পরিবারের সদস্যদের জন্যে সামনের সারিতে মাত্র তিনটি আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল। মনমোহন সিংয়ের মেয়েদের জন্যে সামনের সারিতে আসন বরাদ্দ করতে জোরাজুরি করতে হয়েছিল কংগ্রেস নেতাদের। যখন মনমোহন সিংয়ের স্ত্রীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কিংবা গান স্যালুটের সময় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা দাঁড়াননি। চিতার সামনে মনমোহন সিংয়ের পরিবারের দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না কারণ একটা দিকে সেনা জওয়ানরা দাঁড়িয়ে ছিলেন।'
এরপর পবন খেরা আরও অভিযোগ করেন, 'মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্যের সময় সেখানে সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারা ভেন্যুর বাইরে থেকেই উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন। অমিত শাহের গাড়ির বহর মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্যে ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল। সেই সময় ভেন্যুর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। মনমোহন সিংয়ের পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা তাঁর নাতি-নাতনিদের চিতার কাছে যেতে রীতিমতো ঠেলাঠেলি করতে হয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা পুরো অন্যদিকেই ছিলেন। যেই সময় ভুটানে রাজা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনও প্রধানমন্ত্রী মোদী উঠে দাঁড়াননি। এই গোটা শেষকৃত্য জুড়ে অব্যবস্থা ছিল। খুব বাজে ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল। শেষযাত্রায় সাধারণ মানুষের যোগ দেওয়ার জায়গাও ছিল না।' সব শেষে পবন খেলা লেখেন, 'একজন শীর্ষ স্থানীয় রাষ্ট্রনায়কের প্রতি এই অসম্মানজনক আচরণ সরকারের অগ্রাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবকে প্রকাশ করে। ডঃ মনমোহন সিংয়ের মর্যাদার প্রাপ্য ছিল, এই লজ্জাজনক দৃশ্য নয়।'