অক্সিজেনের ঘাটতিতে ‘সম্ভবত’ গোটা দেশে মাত্র চারজন কোভিড রোগী মারা গিয়েছিলেন দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে এমনই তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া। এদিন সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছিল কোভিডের দ্বিতীয় ডেউয়ের সাথে। কিছু রাজ্য আদালতে গিয়েছিল এবং স্বপক্ষে আদেশ পেতে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের কোভিড বা অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মৃত্যুর কোনও সংখ্যা গোপন না করতে বলেছিলেন।’
কোভিডের দ্বিতীয় ডেউয়ের সময় অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মৃত্যুর বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ বালুভাউ ধানোরকরের উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সব রাজ্যের কাছে চিঠি পছিঠিয়েছিলাম। অক্সিজেনের ঘাটতির বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলাম আমরা। ১৯টি রাজ্য আমাদের চিঠির প্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছিল। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র পঞ্জাবই অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে চারটি মৃত্যুর বিষয়ে 'সন্দেহ' প্রকাশ করেছিল।’
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার বাদল অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যসভাকে জানিয়েছিল যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এরপরই বিরোধীরা তোপ দেগেছিল যে সরকারের কাছে কোনও কিছুর তথ্য থাকে না। পাশাপাশি সরকারকে বলা হয় যে সরকারের কাছে তথ্য নেই মানেই যে সেই ঘটনা ঘটেনি, এমনটা নয়।
উল্লেখ্য, শীতকালীন অধিবেশনেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল যে কৃষক আন্দোলনের সময় কৃষক মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। এরপরই রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে কেন্দ্রকো তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘যদি সরকারের কাছে ৭০০ জন কৃষকের রেকর্ড না থাকে তাহলে মহামারী চলাকালীন তারা কীভাবে লাখ লাখ মানুষের ডেটা সংগ্রহ করেছিল। গত ২ বছরে কোভিডের কারণে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে কিন্তু সরকারের তথ্য বলছে, মাত্র ৪ লাখ মানুষ ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছে।’