সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এবং লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় লাক্ষাদ্বীপে জন্ম নেওয়া পরিচালক আইশা সুলতানার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের লাক্ষাদ্বীপ পুলিশের কাছে। এবার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক এক করে দল ছাড়ছেন লাক্ষাদ্বীপের বিজেপির নেতারা। দল ছেড়ে দেওয়া নেতাদের অভিযোগ, এই এফআইআর মিথ্যে এবং অযৌক্তিক। এই দ্বীপের নীতি বিরুদ্ধে এটা।
উল্লেখ্য, আইশার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি সভাপতি সি আবদুল খাদর হাজি। এর প্রেক্ষিতে বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদে তথা কাভারাট্টি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ মুল্লিপুঝার অভিযোগ, মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইশা সুলতানা শুধুমাত্র প্রশাসকের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছিলেন। এই অভিযোগ তাঁ পরিবারকে ধ্বংস করে দেবে। এটা এই দ্বীপপুঞ্জের নীতি বিরোধী।
এদিকে অ্যান্ড্রট ইউনিটের সভাপতি বিসি চেরিয়া কোয়া বলেন, 'আমরা এভাবে এগিয়ে যেতে পারি না। আমি তাই দল থেকে পদত্যাগ করছি।' তবে এই পদত্যাগের হিড়িককে ছোটো করে দেখাতে চাইছে বিজেপি। এই বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এপি আবদুল কুট্টি বলেন, 'এই নেতাদের অধিকাংশ আগেই দল ছেড়েছিলেন। এখন তারা আবার এই ইস্তফা করছে যাতে তাঁদের দিকে নজর দেওয়া হয়।'
উল্লেখ্য, এর আগে এক মালায়ালাম টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে আইশা মন্তব্য করেন, দিল্লির সরকার প্রফুল খোডা প্যাটেলকে লাক্ষাদ্বীপের মানুষের বিরুদ্ধে বায়োওয়েপন হিসেবে ব্যবহার করছে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার প্রতিবাদে এখন বিভক্ত লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, নতুন প্রশাসক হিসেবে প্রফুল প্রস্তাব করেছেন লাক্ষাদ্বীপে গরুর মাংস বা বিফ খাওয়া নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মদ বিক্রির নিয়মও আনার কথা বলা হয়। যার প্রতিবাদে সরব গোটা দ্বীপ। সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র এবং প্রফুলকে তোপ দেগেছিলেন আইশা।