লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ায় গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল শ্রমিকদের। মঙ্গলবার বিকেলে বান্দ্রা স্টেশনের বিক্ষোভে শামিল বাংলারও বহু পরিযায়ী শ্রমিক।
এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখার ঘোষণা করেন। এর পরেই মুম্বইয়ের আশ্রয়শিবিরে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে।
লকডাউন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে বিকেলে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক এসে পৌঁছন বান্দ্রা ওয়েস্ট রেলস্টেশনে। প্রতিবাদী শ্রমিকরা দাবি করেন, নিজেদের রাজ্যে ফিরতে তাঁদের জন্য অবিলম্বে ট্রেন চলাচল শুরু করতে হবে।
স্টেশন চত্বরে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষুব্ধরা তখন এসে জড়ো হন সংলগ্ন বান্দ্রা বাস স্ট্যান্ডে। প্রায় হাজার তিনেক পরিযায়ী শ্রমিককে সরাতে শেষে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে।
ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা করোনার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধ দুর্বল করে দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার আবেদন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান অমিত শাহ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের উদ্দেশে গত মার্চ মাসের ২২ তারিখে প্রথম দফায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৪ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার জেরে ফের লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েন পরিযায়ী শ্রমিকরা।