বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডে। ট্রেনে আগুন লেগেছে এরকম গুজব ছড়িয়ে পড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। তখন প্রাণ বাঁচাতে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাইনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উল্টো দিক থেকে আসে মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কুমান্ডিহ স্টেশনে। আহত হয়েছেন আরও ৪ যাত্রী। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।যদিও রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ট্রেনে আগুন লাগার কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই অবস্থায় কীভাবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ল তা জানতে রেলের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র গতিতে আসা ট্রেনের ধাক্কায় একসঙ্গে দুই শ্রমিকের মৃত্যু, তিনজন চিকিৎসাধীন
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। হতাহত যাত্রীরা সকলেই সাসারাম-রাঁচি ইন্টারসিটি করে যাচ্ছিলেন। এরপর রাত ৮ টা নাগাদ হেহেগাদা এবং কুমান্ডিহ স্টেশনের মাঝখানে ট্রেনটি পৌঁছতেই আগুন লাগার গুজব ছড়ায়। তথ্য অনুযায়ী, কেউ একজন স্টেশন মাস্টারকে ফোন করে ট্রেনে আগুন লাগার খবর দেন। তখন স্টেশন মাস্টার ট্রেন থামালে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় প্রাণ বাঁচাতে বহু যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ধানবাদ বিভাগের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার জানিয়েছেন, আহতদের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে, স্টেশন মাস্টারের কাছে ফোন করে চিনি ট্রেনে আগুন লাগার খবর দিয়েছিলেন তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ট্রেনের যাত্রী ছিলেন না। উল্লেখ্য, এই এলাকায় মাওবাদীরা যথেষ্ট সক্রিয়। সেক্ষেত্রে এটি মাওবাদী কার্যকলাপ হতে পারে বলেও মনে করছে রেল। তাই সবদিক থেকেই এই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুনের গুজব মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ট্রেনে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ট্রেনের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখন অনেকেই ঝাঁপ দেন। এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকেন যাত্রীরা। ঠিক সময় বিপরীত দিক থেকে একটি মালগাড়ি যাত্রীদের পিষে দেয়। অনেকেই ঘটনাস্থলেই মারা যান। লাতেহারের পুলিশ সুপার অঞ্জলি অঞ্জন জানান, ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকারী দল পৌঁছয়। তিনি জানান মৃতদের মধ্যে একজন হলেন মহিলা।