নতুন বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নাম মহম্মদ ইউনুস। আর তাঁর জমানায় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়ি। বাংলাদেশের রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই বাড়ির একাধিক অংশ। তবে সেখানেই শেষ হয়ে যায়নি এই পর্ব। এবার সেই ভেঙে ফেলা বাড়ি থেকে ইট, রড ও অন্যান্য সামগ্রী খুলে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। এমনকী ভ্যানে করেও সেই সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই বাড়িটির সামনে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গিয়েছে। ৩২ নম্বর বাড়ি সংলগ্ন পূর্ব পাশের নির্মীয়মান একটি ভবনে আসেন দমকল কর্মীরা। তাঁরা বাড়িটির আন্ডারগ্রাউন্ডে জমে থাকা জল পাম্পের মাধ্য়মে তুলে আনছিলেন। সেখানেও কৌতুহলী মানুষের ভিড় দেখা যায়।
ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ৩২ নম্বর বাড়িটিতে গিয়ে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দেখেছেন, কেউ হাতুড়ি দিয়ে ভবনের অবশিষ্ট অংশ ভাঙছেন, কেউ লোহার রড কেটে নিচ্ছেন, ইট খুলে নিচ্ছেন কেউ কেউ, এমনকী এসব নেওয়ার জন্য রিকশা ও ভ্য়ানও আনা হয়েছে।
এদিকে ৩২ নম্বরের ওই বাড়ির সামনে একাধিক দোকানও বসে গিয়েছে। আসলে অনেক লোকজন আসছেন এখানে। সেক্ষেত্রে বেচাকেনাও কিছু মন্দ হচ্ছে না।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা ভিডিয়ো আসছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেখানে দেখা গিয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে ওই বাড়িতে থাকা নানা সামগ্রী নিয়ে চলে যাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কার্পেট, কেউ বই, কেউ আবার গাছের ডাব. ইট পাটকেলও নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। স্টিল, লোহা, রড, যা হাতের সামনে পাচ্ছেন ফ্রিতে সেটাই নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
প্রচুর মানুষ ঢুকে যা যার মতো জিনিসপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই।
তবে এর আগে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছিলেন, 'শেখ হাসিনা বছরের পর বছর জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। সঙ্গত কারণেই বিক্ষোভকারীদের মনে ক্ষোভ রয়েছে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপরে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার দলীয় সন্ত্রাসীদের একত্র করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। বছরের পর বছর বাংলাদেশে নিপীড়নের শাসন কায়েম করা শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তা সত্ত্বেও সরকার দেশের সব নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। এতে করে আমরা নিজেদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।'