এস করিমুদ্দিন ও ঋতেশ মিশ্র
মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। ছত্তিশগড় পুলিশ এই দাবি করেছে।
জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) পৃথক দল নকশাল বিরোধী অভিযানে বের হয়েছিল। সকাল ১১টা নাগাদ জাংলা থানা সীমানার অন্তর্গত একটি জঙ্গলে এনকাউন্টার শুরু হয়, এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ডিআরজির একটি টহলদারি দল ছোটে তুঙ্গালি জঙ্গলের কাছে টহল দেওয়ার সময় গুলি বিনিময় শুরু হয়।
জঙ্গল থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, আইইডি ও অন্যান্য মাওবাদী সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।
ডেপুটি ইনসপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ( দক্ষিণ বস্তার) কমললোচন কাশ্যপ জানিয়েছেন, ছোটে টুংলি এলাকায় ডিআরজির টিম যাচ্ছিল। তখনই গুলি বিনিময় হয়। জঙ্গল থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী এখনও জঙ্গলে রয়েছে, তাই আরও বিশদ বিবরণের অপেক্ষায় রয়েছে, জানিয়েছেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধাপে ধাপে মাওবাদীদের দাপট আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। এবার ছত্তিশগড়ে বিরাট পদক্ষেপ নিল নিরাপত্তারক্ষীরা।
এদিকে এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে ছত্তিশগড়ে মাও মোকাবিলার নানা দিক উঠে আসে।
ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এরপরই দেখা যায় ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলার কাজ শুরু হয়ে যায়। গত ৩১ ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ে বিএসএফের বাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ৩০০০ বিএসএফ যাবে ছত্তিশগড়ে। সেই সঙ্গেই আইটিবিপির সমান সংখ্য়ক ইউনিট যাবে ছত্তিশগড়ে। লক্ষ্য একটাই, এলাকা থেকে মাওবাদীদের নাম নিশানা মুছে ফেলা।
এদিকে এর আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, দেশ থেকে অতিবাম শক্তিকে মুছে ফেলা হবে। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে বিএসএফের রেজিং ডে-তে তিনি একথা জানয়েছিলেন। বিএসএফ , সিআরপিএফ ও আইটিবিপি এনিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছিল, বিএসএফকে বলা হয়েছে, ৬টি নতুন কোম্পানি অপারেটিং বেস করা হবে নারায়ণপুর জেলায়। বিএসএফ সোর্স জানিয়েছে পিটিআইকে।
ইন্দো তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশ ছত্তিশগড়ের একাধিক পয়েন্টে মোতায়েন করা আছে। নারায়ণপুর জেলায় প্রায় ৪০০০ বর্গ কিমি এলাকায় জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নকশালদের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে অভিযান চালানোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে এবার বড় সাফল্য পেল সুরক্ষাবাহিনী।