বারো নয়, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় ৩১ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে। এমনই জানালেন বস্তার রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজি) পি সুন্দররাজ। ঘটনাস্থল থেকে অটোমেটিক রাইফেল-সহ উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। আর আজকের ঘটনার পরে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ছত্তিশগড়ে মোট ৮১ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে। বিজাপুর-সহ বস্তার ডিভিশনেই (বিজাপুর-সহ সাতটি জেলা) ৬৫ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্তার রেঞ্জের আইজি। তবে রবিবারের ঘটনায় দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু'জন। তাঁরা আপাতত বিপন্মুক্ত। এয়ারলিফট করে তাঁদের আনা হচ্ছে।
‘এখনও অপারেশন চলছে’, জানালেন পুলিশকর্তা
তারইমধ্যে বস্তার রেঞ্জের আইজি জানিয়েছেন, যে ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানের কাছে রবিবার সকালে গুলির লড়াই হয়, সেখানে আরও জওয়ান পাঠানো হয়েছে। এখনও 'অপারেশন' চলছে। যা শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ থেকে। আইজির কথায়, '(প্রাথমিকভাবে) গুলির লড়াই থামার পরে আমরা ৩১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এখনও অপারেশন চলছে। গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই জওয়ান।'
আরও পড়ুন: Maoist Encounter in Chhattisgarh: তৃতীয় নয়নেই ধরা পড়ল মাওবাদীদের গতিবিধি, এরপরই এনকাউন্টার, পরপর-১৯
'মাঝেমধ্যে গুলির লড়াই চলছে এখনও'
আইজির কথায়, ‘গুলির লড়াই থামার পরে আমরা ৩১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এখনও অপারেশন চলছে। গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই জওয়ান।’ সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে গুলির লড়াই চলছে।
আরও পড়ুন: Maoist Encounter: এই প্রথম মাও দমনে এত বড় সাফল্য! জানালেন ছত্তিশগড়ের ডেপুটি সিএম, নিকেশ হল কে?
আর সেই ঘটনা নিয়ে ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেছেন, 'বিজাপুরের জাতীয় উদ্যান এলাকায় গুলির লড়াইয়ে ৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। দুই জওয়ানও মারা গিয়েছেন। দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁদের এয়ারলিফট করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।'
২০২৫ সালে মাওবাদী অপারেশনের পরপর ঘটনা
১) গত ২ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরেই গুলির লড়াইয়ে আট মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল।
২) গত ২০ জানুয়ারি ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমান্তের একটি জঙ্গলে ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। যে তালিকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যও ছিল।
৩) গত ১৬ জানুয়ারি আবার ১৮ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। গত বছর ছত্তিশগড়ে বিভিন্ন এনকাউন্টারে মোট ২১৯ মাওবাদীকে খতম করে ছিল নিরাপত্তা বাহিনী।
৪) কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলা থেকে বিস্ফোরক নিয়ে দুই মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, কেরলাপাল এলাকায় টহলদারির সময় ওই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুচাকি জোগার মাথার দাম ছিল এক লাখ টাকা। উদ্ধার করা হয় তিন কেজির ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং দুটি ডিটোনেটর।