উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মার্গারেট আলভা বলেন, ‘প্রিয় বিএসএনএল বা এমটিএনএল, আজ বিজেপির কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার আমার সব ফোন কল ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং আমি ফোন করতে বা ফোন ধরতে পারছি না।’
BJP 'বন্ধুদের' ফোনের পর থেকেই কলিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কল আসছে না, যাচ্ছেও না। এমনই দাবি করলেন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভা। তাঁর প্রতিজ্ঞা, ফোন ঠিক করে রাতে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেডির কোনও সাংসদকে ফোন করবেন না।
সোমবার টুইটারে একটি নোটিশের ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করে মার্গারেট বলেন, 'প্রিয় বিএসএনএল বা এমটিএনএল, আজ বিজেপির কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার আমার সব ফোন কল ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং আমি ফোন করতে বা ফোন ধরতে পারছি না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে আপনারা যদি ফোনের পরিষেবা ফিরিয়ে দেন, তাহলে আজ রাতে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেডির কোনও সাংসদকে আজ রাতে ফোন করবে না।' শেষে ‘লাভ’ ইমোজি পোস্ট করেন মার্গারেট। লেখেন, ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য, এবার আপনাদের কেওয়াইসি লাগবে?’
এই টুইট করেন মার্গারেট আলভা।
মার্গারেট যে ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে লেখা ছিল, 'প্রিয় গ্রাহক, আপনার এমটিএনএল সিমের কেওয়াইসি সাসপেন্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার সিম কার্ড ব্লক করে দেওয়া হবে।' নেটিজেনদের একাংশের দাবি, প্রতারণা চক্রের তরফে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ আবার ভুয়ো নোটিশ বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। আবার একাংশের দাবি, যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।
গত ২১ জুলাই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, মমতার সঙ্গে আলোচনা না করেই বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্য রাতারাতি শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠক সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অথচ লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের ৩৫ জন সাংসদ আছেন। তারপরও যেভাবে বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণা করা হল, তা একেবারে অবাঞ্চনীয়। প্রতিবাদস্বরূপ উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকছে তৃণমূল।