বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য একগুচ্ছ আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি হাই কোর্ট বিভক্ত রায় দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করা হয়েছে। খুশবু সাইফি তাঁর কৌঁসুলির মাধ্যমে এই আবেদন করেছেন।
এর আগে বহুদিন ধরেই দিল্লি হাই কোর্টে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে মামলা চলেছিল। সেই মামলার রায় প্রকাশ করা হয় গত সপ্তাহে। তবে উচ্চ আদালতের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে কোনও রায় দিতে পারেননি। এই আবহে মহিলা কর্মী এবং আবেদনকারীরা তাঁদের হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য করা উচিত।
যদিও মামলার রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারপতি রাজীব শকধেরের বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এটি ব্যতিক্রম। স্ত্রীদের অসম্মতিতেও স্বামীরা যে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন, এই বিষয়টির নৈতিকভাবে মৌলিক অধিকার বিরোধী।’ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার ২ নং ব্যতিক্রম তুলে ধরে বিচারপতি শকধের নিজের রায়ে বলেন, ‘যৌনকর্মীরা আইনত না বলতে পারেন, তবে বিবাহিত স্ত্রী তা পারেন না। যদি কোনও মহিলার স্বামী তার স্ত্রীর গণধর্ষণে যুক্ত থাকে, তাহলে সে সম্পর্কের খাতিরে পার পেয়ে যাবে। অন্য অভিযুক্ত ধর্ষণের সাজা ভোগ করলেও ধর্ষণকারী স্বামীর কিছুই হবে না।’ তবে বেঞ্চের অপর বিচারপতি সি হরিশংকর বলেন যে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা কোনও পুরুষ বলপূর্বক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তা কোনও আইন লঙ্ঘন করে না। তিনি সংবিধানের ৩৭৬বি ও ১৯৮বির কথা তুলে ধরেন। এবং তিনি বলেন, বৈবাহিক ধর্ষণ অসাংবিধানিক নয়।