রিচা বাঙ্কা
বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গে এবার কিছুটা বিভাজিত রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। মূলত Marital rape অপরাধমূলক কাজ কি না সেই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। এদিকে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কার্যত দ্বিধাবিভক্ত রায় ঘোষণা করল। ৩৭৫ ধারার ২ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গও আসে শুনানিতে। যেখানে বলা হচ্ছে, বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয় যদি না স্ত্রী ১৮ বছরের কম হয়।
বিচারপতি রাজীব শকধের জানিয়েছেন, IPC 375 সংবিধানের ধারা মানছে না। অন্যদিকে জাস্টিস সি হরিশংকর সেকশন ৩৭৬বি ও ১৯৮বির কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এটি কোনও আইন ভাঙছে না। এটি ঠিকই আছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আবেদনকারীরা এবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।
এদিকে গত ২১শে ফেব্রুয়ারি দুই বিচারপতির বেঞ্চ কোনও রায় দেননি। এদিকে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কেন্দ্রকে তার অবস্থান জানানোর জন্য দু সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। তারপরেও কেন্দ্র তার অবস্থান জানাতে পারেনি। পরে আবার কেন্দ্র আদালতের কাছে সময় চায়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে এনিয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়েছে। এদিকে কেন্দ্র সেদিন কার্যত ত্রিশঙ্কু অবস্থান নেয়। অর্থাৎ এদিকেও নেই আবার ওদিকেও নেই।
এদিকে ২০১৭ সালেও কেন্দ্রীয় সরকার এই আবেদনের বিরোধিতা করে জানিয়ে দিয়েছিল, আমাদের দেশ সবকিছু ব্যাপারে পাশ্চাত্যের দেশগুলোকে অনুসরণ করতে পারে না। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলার আগে অনেকগুলো ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
এদিকে ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, সবার সঙ্গে কথা না বলে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলতে পারব না।এদিকে মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি লোকসভায় জানিয়েছিলেন, নারী ও শিশুকে রক্ষা করা কর্তব্য কিন্তু সমস্ত পুরুষই ধর্ষক এটা বলা যায় না। এদিকে গত ৩১ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী জানিয়েছিলেন, মহিলাদেরও না বলার অধিকার আছে। জোর করে সঙ্গম করার চেষ্টা স্বামী করলে তা বারণ করার অধিকার মহিলাদের দিতে হবে।