মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা উচিৎ। আজব দাবি করলেন ঝাড়খন্ডের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী হাফিজুল হাসান। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে কন্যার বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সেখানে বিয়ের বয়স কমিয়ে দেওয়ার পক্ষ মত দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী। বিধানসভা চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা তথা মন্ত্রী বলেন, ১৬-১৭ বছর বয়সেই ঝাড়খন্ডে বহু মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। এই বয়স বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। বর্তমান সময়ে মেয়েদের বাড়বাড়ন্তের নিরিখে বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৬ করা উচিৎ। যদি সেটা না হয় তবে ১৮ই রাখা দরকার।
এদিকে বর্তমানে ছেলেদের বিয়ের বয়স রয়েছে ২১ বছর। সেক্ষেত্রে মেয়েদের বিয়ের বয়সও ২১ করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল ঝাড়খন্ডের মন্ত্রীকে। তখনই তিনি এই বিশেষ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তবে বিজেপি অবশ্য মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। ঝাড়খন্ড বিধানসভার বিজেপির চিফ হুইপ বিরাঙ্গি নারায়ণ জানিয়েছেন, মন্ত্রী নিজের ধর্মীয় মনোভাবকে প্রকাশ করেছেন। একজন মন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়। মোদী মন্ত্রিসভা যথার্থ সিদ্ধান্তই নিচ্ছে। আমাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার এই সদস্য়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন।