ছুটি না পেলে কত কিছুই না হয়। তবে বিয়েতে ছুটি তো দিতেই পারতেন বস! কিন্তু ছুটি মেলেনি। তা বলে কি বিয়ে থেকে পিছিয়ে যাবেন? ভারতীয় পাত্র কর্মসূত্রে থাকেন তুরস্কতে। আর পাত্রী থাকেন হিমাচল প্রদেশে। এদিকে বিয়ে করতে আসবেন বলে ছুটি চেয়েছিলেন পাত্র। কিন্তু ছুটি মেলেনি। তবে বরও ভেঙে পড়ার পাত্র নন। ভিডিয়ো কলেই বিয়ে সারলেন পাত্র।
নিউজ ১৮এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে আদনান মহম্মদ। আদতে তিনি বিলাসপুরের বাসিন্দা। তিনি বিয়ের জন্য ভারতে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তুরস্কের বস তাঁকে ছুটি দিতে চাননি। এর জেরে প্রাথমিকভাবে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এদিকে কনের দাদু বিয়ে দেখতে চেয়েছেন। বৃদ্ধের কথায় বিকল্প পথ ভাবেন দুজনেই। এরপর ঠিক করা হয় দেশে ফিরতে দেরি হতে পারে। সেকারণে ভিডিয়ো কলেই বিয়ে সারলেন দুজনে।
এদিকে বরের বাড়ির লোকজন ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে যান। সেখানে কাজির কথা মতো ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বিয়ের আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পিটিআইয়ের খবরে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে এবারই প্রথম ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বিয়ে হল এমনটা নয়। এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসেও ভিডিয়ো কলের মাধ্য়মে বিয়ে হয়েছিল। সেবার হিমাচল প্রদেশে প্রবল ধস নেমেছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ে। সেই অবস্থায় কীভাবে একে অপরের বাড়িতে যাবেন? সেবারও দুজনকে জুড়ে দিয়েছিল ভিডিয়ো কল। সেবারও ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বিয়ে করেছিলেন দুজন। সেবার আশিস সিংহ ও শিবানী ঠাকুর নামে দুজন ভিডিয়ো কলে বিয়ে করেছিলেন।
এবার একেবারে তুরস্কে থাকা পাত্রের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে বিয়ে হল হিমাচলের পাত্রীর।
এদিকে এই বিয়ে দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই অতিমারির পরিস্থিতির সময়। সেই সময় কাছাকাছি যাওয়াটা সম্ভব ছিল না। সেকারণে ভরসা বলতে ছিল ভিডিয়ো কল। সেকারণে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বিয়ের একাধিক নজির শোনা যেত সেই সময়।
এমনকী সেবার আবার অতিথিরাও কেউ কারোর বাড়িতে যেতে পারতেন। একসঙ্গে খাওয়ারও ব্যাপার নেই। সেক্ষেত্রে অতিথিরাও যাতে সেই বিয়ের আসরে যোগ দিতে পারেন সেকারণে অনলাইনে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে সেবারও ছিল কার্যত বাধ্য হয়েই। সংক্রমণের আশঙ্কায় এসব করা হয়েছিল। এবারও কার্যত বাধ্য হয়েই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বিয়ে করা হল। দুই মন বাঁধা পড়ল একই সূত্রে।