কনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন বরপক্ষ। সুসজ্জিত বস্ত্রে ঘোড়ার ওপর বসে বর। তাঁর চারিদিকে ঘিরে বরযাত্রীরা হইহই করে বরকে নিয়ে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তার মধ্যেই তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ালেন এক যুবতি। তারপর সরাসরি এগিয়ে গেলেন বরের কাছে। বরকে বললেন, ‘কোথায় যাচ্ছ? বিয়ে আমায় করতে হবে!’
শুক্রবার এমনই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। প্রেমিকের বরযাত্রা আটকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিবাহিত প্রেমিকা। তাঁকে বিয়ে করার জন্য অনুনয়-বিনয় করতে থাকেন। ওই যুবকের পরিবার-পরিজনরা যুবতিকে অনেক বোঝালেও কোনও লাভ হয়নি। তারপর ওই যুবতিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তবে যুবতি নিজের জেদ বজায় রাখেন। এমনকী, ওই যুবতি যখন বুঝতে পারেন যে, বরযাত্রীরা তাঁর প্রস্তাবে রাজি নয়। তখনই তিনি সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোরখপুরের গুলরিহা এলাকার পিপরি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই যুবতির সম্প্রতি বিয়ে হয়। বিয়ের পরই ওই যুবতি গ্রামের মধ্যেই এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আস্তে আস্তে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হতেই, যুবকের বিয়ে অন্যত্র ঠিক করে ফেলেন তাঁর পরিবার। ওই যুবতির অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন তাঁর প্রেমিক। বিষয়টি জানতে পেরেই তিনি পথ আটকেছেন।
এদিন যখন ছেলের বাড়ি থেকে বরযাত্রী বার হচ্ছিল, তখনই রাস্তার মাঝখানে ওই বিবাহিত যুবতি বরযাত্রীদের পথ আটকে দেন। ঘটনার পরেই ওই যুবকের পরিবার যুবতীকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তার পর ওই যুবতি থানায় গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভটহর থানার পুলিশ দু’পক্ষকেই থানায় ডেকে পাঠায়। তারপরেই ওই যুবতিকে বাড়িতে পাঠানো হয়। ওদিকে বরপক্ষকে নির্দিষ্ট জায়গায় বিয়ের আসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।