হান্দওয়ারায় শহিদ সাগীর আহমেদ পাঠান বরাবরই এক নির্ভীক পুলিশ আধিকারিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগেও বহু অভিযানে তিনি সফল হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে হান্দওয়ারায় যখন সন্ত্রাসবাদীদের হাতে পণবন্দি পরিবারকে বাঁচাতে উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কর্নেল আশুতোষ শর্মা, তখন যেচে তাতে অংশগ্রহণ করেন সাগীর। তাঁকে সেই শেষ বার জীবিত দেখেন সতীর্থরা।
আরও পড়ুন: কর্নেল শর্মার ফোনে ‘আস্সালামওয়ালেইকুম’-ই বদলে দিল হান্দওয়ারার সংঘর্ষ চিত্র
বছর একচল্লিশের সাগীর ওরফে কাজীর জন্ম ১৯৭৮ সালে সীমান্তবর্তী কুপওয়ারা জেলার ত্রাদ গ্রামে। ১৯৯৯ সালে তিনি জম্মু ও কাশ্মাীর পুলিশে যোগ দেন। গোড়া থেকেই দুঃসাহসিক পুলিশকর্মী হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করেন এবং মাত্র ১৪ বছরে তিনটি বড় পদোন্নতি ও একগুচ্ছ সম্মানজনk শিরোপা অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হান্দওয়ারায় খতম লস্কর জঙ্গি, এনকাউন্টার-স্থানের ৩ কিমি দূরে বিস্ফোরণ, আহত ৮
২০০৬ সালে তিনি সন্ত্রাস দমন বাহিনী স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপে যোগ দেন এবং ২১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস বাহিনীর সঙ্গে বহু অভিয়ানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। সাহসিকতার জোরেই পর পর তিনটি প্রোমোশন পান কাজী। পান ২০০৯ সালে শের-ই-কাশ্মীর পদক, ২০১১ সালে সাহসিকতার জন্য বিশেষ পুলিশ পদক, ডিজিপি কমেনডেশন মেডেল ও জিওসি-ইন-সি নরদার্ন কম্যান্ড কমেনডেশন ডিস্ক।
হান্দওয়ারায় সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধানে বিশেষ পুলিশি অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই অভিযানেই শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবনাবসান হয়। তাঁর স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন।