জমি আন্দোলনের জেরে হুগলির সিঙ্গুর থেকে ফিরে গিয়েছিল টাটারা। আর হরিয়ানাতে তার উলটো ছবি। বৃহস্পতিবার একেবারে ঘটা করে মারুতি সুজুকির হাতে বিপুল জমি তুলে দিল হরিয়ানা সরকার। সেখানে গাড়ি তৈরির ইউনিট হবে। সেই প্রচেষ্টা সফল করতে হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সই করল মারুতি সুজুকি। আনুষ্ঠানিকভাবে হরিয়ানা সরকার দেশের সর্ববৃহৎ গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার হাতে জমি তুলে দিয়েছে। হরিয়ানার সোনিপতে তৈরি হবে এই গাড়ি কারখানা। তবে শুধু চারচাকা নয়, এখানে সুজুকি মোটর সাইকেলও তৈরি হবে। ২০২৫ সাল থেকে এখানে উৎপাদন শুরু হবে। মারুতি বর্তমানে মানেসার ও গুরুগ্রামে তাদের উৎপাদন ইউনিট চালায়।
প্রায় ৮০০ একর জায়গার উপর তৈরি হবে মারুতির কারখানা। এটা খারকোদা শিল্পতালুকের মধ্যে পড়ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মারুতি সুজুকি। প্রথম পর্যায়ে বছরে আড়াই লাখ গাড়ি তৈরি করবে ওই কোম্পানি। আশা করা হচ্ছে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে ওই শিল্পকেন্দ্রে।
মারুতি সুজুকির তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ৮ বছর ধরে প্রতি বছরে প্রায় ১০ লাখ ইউনিট তৈরি হবে। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আরসি ভার্গভ জানিয়েছেন, বাজার পরিস্থিতির উপর সবটা নির্ভর করছে। তবে আগামী ৮ বছরের মধ্য়ে আমরা আশা করছি উৎপাদনের শীর্ষে চলে যেতে পারব। সোনিপত প্ল্যান্ট তখন ১০ লাখ গাড়ি তৈরি ক্ষমতায় চলে যাবে।
কেনিচি আয়ুকাওয়া মারুতি সুজুকির কার্যনির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যখন মারুতি হরিয়ানায় উৎপাদন শুরু করেছিল তখন বিশ্বের গাড়ি তৈরির মানচিত্রে ভারত ছিল না। আর আজ ভারত চতুর্থ স্থানে। হরিয়ানা সরকার ৮০০ একর জমি চারচাকার জন্য় ও ১০০ একর জমি মোটর বাইক তৈরির জন্য অনুমোদন করেছে।