ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই ভারতে মাস্ক ব্যবস্থারের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক প্রবণতা বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল জানান, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে তো মাস্ক ব্যবহার এতটাই কম গিয়েছে যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে যতটা ছিল, তার থেকেও নিম্নস্তরে আছে। যা পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশে কত মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। যাতে সার্বিকভাবে ভারতীয়দের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতার ইঙ্গিত মিলেছে। নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য পল জানান, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মাস্ক পরার প্রবণতা বেশি ছিল। সেইসময় মানুষ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রবণতা কমতেই আবারও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা কমে গিয়েছে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে তো মাস্ক ব্যবহার এতটাই কমে গিয়েছে যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে যতটা ছিল, তার থেকেও কমে গিয়েছে।
তিনি বলেন, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলেছে যে এখন সেই সময় আসেনি, যখন মাস্ক পরা বন্ধ করে দেওয়া যায়। মাস্ক পরার নিরিখে আমরা এখন বিপজ্জনক এং অগ্রহণযোগ্য স্তরে অবস্থান করছি। টিকা এবং মাস্ক - দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টা আজও আমাদের মনে রাখতে হবে।' তিনি জানান, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ‘সামাজিক টিকা’ হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে মানুষকে। কারণ আপাতত করোনার এমন কোনও প্রজাতি আসেনি, যা সঠিক মাস্ক ভেদ করে ঢুকতে পারে।
তারইমধ্যে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮-র ঊর্ধ্বে দেশের ৫৩.২ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। একটি ডোজ পেয়েছেন ৮৭ শতাংশের বেশি মানুষ। সবমিলিয়ে ১৩১ কোটি ডোজ প্রদান করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের দাবি, আপাতত ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত ২৬ জনের হদিশ মিলেছে। তাঁদের উপসর্গ কম থেকে মাঝারি।