Mass Cremation: স্কুলবাসে আগুন লেগে মৃত ২৩, আত্মার শান্তি কামনায় শেষকৃত্য করলেন থাইল্যান্ডের সন্ন্যাসীরা

Mass Cremation: থাইল্যান্ডের একটি ছোট শহরে স্কুল ট্রিপের সময় বাসে আগুনে মারা যাওয়া ২৩ জনের জন্য শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল।

স্কুল ট্রিপে বেরিয়ে আচমকা আগুন লেগে যায় বাসে। দগ্ধ হয়ে মারা যান শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সহ ২৩ জন। মঙ্গলবার, মধ্য থাইল্যান্ডের একটি ছোট শহরে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করলেন সন্ন্যাসীরা। চোখের জল ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। করা হয়েছে শেষকৃত্য।

ল্যান সাক শহরে মন্দিরের কাছে, যেখানে মৃতদের স্কুলটি অবস্থিত, সেখানেই এই গণ দাহের আয়োজন করা হয়। লম্বা চিমনি সহ বেশ কয়েকটি চুল্লি স্থাপন করা হয়, মৃতদের সম্মান জানাতে, তাঁদের সামনে ফুলও রাখা হয়।

উথাই থাই প্রদেশে মঙ্গলবারের শেষকৃত্য করার উদ্যোগ নেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রিভি কাউন্সিলের প্রধান, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী সুরায়ুদ চুলানন্তকে পাঠান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর, ব্যাংককের শহরতলির পথুম থানির একটি হাইওয়েতে ৩৯ জন প্রাথমিক ও জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে বাসে করে স্কুল ট্রিপে বেরিয়েছিলেন ছয় জন শিক্ষক। তখনই হঠাৎ আগুন লাগে বসে। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে মাত্র ২২ জন পালাতে সক্ষম পেরেছিলেন। বাকি সকলেই মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারান। তাঁদের শরীর এতটাই খারাপভাবে পুড়ে যায় যে শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর, শনাক্ত করে ব্যাংককের ফরেনসিক টিম নিহতদের দেহাবশেষ তাঁদের নিজ শহরে ফিরিয়ে দেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক কতটা দুর্বল হলে, এমন ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে, এমনই প্রশ্ন উঠেছিল। সৃষ্টি করেছিল জাতীয় ক্ষোভের। এরপরই দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করে পুলিশ। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য বাস চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সবথেকে বড় বিষয় হল, অগ্নিকাণ্ডের চার মাস আগেই বাসটির অবস্থা পরিদর্শন করা হয়েছিল। তখন কোনও ত্রুটি চোখে পড়েনি। অথচ এখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে অধিকর্তারা জানতে পেরেছেন যে বাসটির ধারণ ক্ষমতা এড়িয়ে ছয়ের বদলে এটিতে ১১টি প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্যানিস্টার ছিল।

তদন্তকারীরা আরও বলেছেন যে ৫০ বছরেরও বেশি বয়সী বাসটিকে সিএনজিতে চালানোর জন্য পরিবর্তন করা হয়েছিল। এই সবটা দেখেই পুলিশের মনে হয়েছে যে খুব সম্ভবত একটি ক্যানিস্টার থেকে একটি গ্যাস টিউব আলগা হয়ে গিয়ে, এই স্পার্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তারপরে লিক হওয়া গ্যাস জ্বলে ওঠে। আগুন ধরে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে, সিএনজি চালিত ১৩ হাজারের বেশি বাসকে ৬০ দিনের মধ্যে পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ট্রিপ আপাতত স্থগিত করেছে।