এই ঘটনা ভোটমুখী রাজ্য গুজরাতের। যে রাজ্যে বছরের শেষেই সংগঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে পোরবন্দরের ৬০০ মৎসজীবী ও তাঁদের নেতা গুজরাত হাইকোর্টের কাছে ইউথনেশিয়ার দাবি করেছেন। মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান পোরবন্দরের এই মৎসজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আর তার জেরেই এমন দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
গুজরাত হাইকোর্টে আল্লারাখা থিম্মার নামের এক নেতা ও তাঁর সংগঠনের ৬০০ জন সদস্যের হয়ে গুজরাত হাইকোর্টে ইউথনেশিয়ার দাবি করেছেন। গুজরাতের গোসাবরা মৎসজীবী সমাজের তরফে যে পিটিশন ফাইল করা হয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে, 'একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে একাধিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার।' যার জেরে এই মৎসজীবী গোষ্ঠীর আর্থিক দুর্ভোগ আরও চরমে উঠেছে। আর তার জেরেই এঁরা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর মুখে যাওয়ার আনুমতি আদালত থেকে নিতে চাইছেন। এই সংগঠনের তরফে আইনজীবী ধরমেশ গুজ্জর বলছেন, ' গোসাবরা পোর্টে ২০১৬ সাল থেকে নোঙর ফেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে এই মৎসজীবীদের প্রত্যেকের লাইসেন্স রয়েছে।'
ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে কোন ফলগুলি রাখা উচিত, কোনগুলি না খাওয়া ভাল জেনে নিন
পিটিশনে বলা হয়েছে, এই বিশেষ সম্প্রদায়ের মৎসজীবীদের বারবার প্রশাসনের থেকে বিরূপ ব্যবহার পাচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে বারবার এই মৎসজীবীদের পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে পিটিশনে। অন্যদিকে, বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অন্য ধর্মের মৎস্যজীবীদের দেওয়া হয় বলে দাবি পিটিশনে। এমনকি 'পাকিস্তান থেকে আসা তথ্য' পেলেও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সরবরাহ করতেও গোসাবরা মুসলিম মৎস্যজীবী সম্প্রদায় তৎপর বলে জানানো হয়েছে পিটিশনে। এরপরও এমন পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত রণক্লান্ত এই মৎসজীবীরা।