মোহন রাজপুত
উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াত জেলায় ফের গণ হিস্টিরিয়ার ঘটনা। পড়ুয়াদের মধ্য়ে এই গণ হিস্টারিয়ার ঘটনা। স্থানীয় একটি কলেজের ২৯জন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্রের মধ্য়ে এই গণ হিস্টারিয়ার প্রভাব দেখা যায়। মঙ্গলবার এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। এদিকে কলেজের ক্যাম্পাসের মধ্যে তারা অস্বাভাবিক চিৎকার শুরু করে দেন। ক্যাম্পাসের মধ্য়ে তারা অস্বাভাবিকভাবে কাঁপতে শুরু করেন। এদিকে এই ঘটনার জেরে কলেজের স্টাফরাও সমস্যায় পড়ে যান। বুধবার ফের সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে খবর।
বুধবার ফের স্টাফরা দেখেন পাঁচজন ছাত্রীর এই ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এদিকে শুক্রবার মেডিক্যাল টিমকে কলেজে পাঠানো হয়েছিল কলেজের পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং করিয়েছেন তারা। এদিকে এর আগে নভেম্বর মাসে এই ধরনের ঘটনা আরও একবার হয়েছিল বলে খবর। সেই সময় আচমকাই ৩৯জন ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। এরপর পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্য়ে চরম আতঙ্ক ছড়ায়।
চিফ এডুকেশন আধিকারিক জিতেন্দ্র সাক্সেনা জানিয়েছেন,আমরা পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং করাচ্ছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। পড়ুয়াদের দ্রুত সুস্থ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা থেকে যাতে উত্তোরন ঘটানো যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই ওই কলেজের ক্যাম্পাসে পড়ুয়ারা অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। চিৎকার শুরু করেন তারা। এর জেরে অন্য়দের মধ্য়েও আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে ঘটনার পরেই তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়। মেডিক্য়াল স্টাফরাও কলেজে যান।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার কে কে আগরওয়াল জানিয়েছেন, আমরা মেডিক্য়াল টিম পাঠিয়েছিলাম। তাদের কাউন্সেলিং করানো হয়েছে। কিন্তু কেন এমন হল?
পড়ুয়াদের অভিভাবকদের দাবি, এটা একধরনের ভূতে ধরার মতো ব্যাপার। তবে চিকিৎসকদের দাবি, এটা একধনের মানসিক সমস্য়া। শিশুদের এনিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার।
এক মনোবিদ মাধ্বী অবস্তি জানিয়েছেন, এটা ভূতে ধরার কোনও ব্যাপার নয়। এটা সাইকো সোমাটোফর্ম ডিসঅর্ডার। এটা খুব সাধারণ সমস্যা। যখন কেউ পরিবারের মধ্য়ে তার আবেগকে প্রকাশ করতে পারেন না তখনই এসব হয়। সে তখন ভাবতে থাকে সে এটা পারবে কিন্ত তার দক্ষতাকে অগ্রাহ্য় করা হচ্ছে।