ডেভিড লৈতফ্লাং
কিছুদিন আগেই গুলির শব্দে কেঁপে উঠেছিল অসম-মেঘালয় সীমান্তের গ্রাম মুকরো। ৫ কৃষক ও অসমের এক বনরক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল গত ২২ নভেম্বর। কাঠ পাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল উত্তেজনা। তবে জয়ন্তিয়া পাহাড়ের সেই গ্রামে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে।
এনিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার বাতলাং এস সোহিলি জোয়াইয়ের জেলা সদর দফতর থেকে হিন্দুস্তান টাইমসকে ফোনে জানিয়েছেন, জেলার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিত হয়ে গিয়েছে। জেলার বাসিন্দারাই এই কৃতিত্বের দাবিদার। এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি থেকে জেলাকে শান্ত করার দায়িত্ব তাঁরাও নিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কোথাও কোনও হিংসা, ভাঙচুর কিচ্ছু নেই। রাগ বা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও কোথাও নেই। এমনকী সিভিল সোসাইটি গ্রুপ, এনজিও, প্রেসার গ্রুপ অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে সাড়া দিয়েছেন। কোনওরকম ছেলেমানুষি তাঁরা দেখাননি।
ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। যে বহুমূল্য জীবনহানি হয়েছে তার জন্য় আমাদের সমবেদনা রয়েছে। সাধারণ জনতার প্রশংসা করেছেন তিনি। ডিসি বলেন, কিছু প্রেসার গ্রুপ অসহযোগ আন্দোলনের পথে হাঁটছিলেন। বাদবাকি সবটাই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু ব্লক অফিসে ও প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা অফিসে কর্মচারীদের সংখ্যা কিছুটা কম। তবে জোয়াইতে কমবেশি পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
তিনি বার বার সাধারণ মানুষকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের জন্য় আমাদের সমবেদনা থাকছে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে কি সেখানকার অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে? ডিসি জানিয়েছেন, ওখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিছুক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় চাষের জমি রয়েছে। সেক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয় সেটা বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে।
তবে রাজধানী শিলংয়ে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। সেখানে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। সেখানে যানবাহনের চলাচল আগের মতোই রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটিএমে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। কারণ একাধিক এটিএমে টাকার যোগান নেই। তবে বাকি পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।