রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েলের তৈল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
গুজরাটের ভদোদরার কোয়ালিতে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি)-এর একটি তৈল শোধনাগার রয়েছে। সোমবার সেই তৈল শোধনাগারেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
এই বিষয়ে আইওসি কর্তৃপক্ষের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুজরাটের কোয়ালিতে সংস্থার যে তৈল শোধনাগার রয়েছে, সেটির অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি 'বেনজিন স্টোরেজ ট্যাংক'-এ আগুন লেগে যায়।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট 'বেনজিন স্টোরেজ ট্যাংক'টির ধারণ ক্ষমতা ১,০০০ কেএল।
আইওসি-র জারি করা বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, আগুন লাগার বিষয়টি সামনে আসার পরই তৈল শোধনাগারের 'এমারজেন্সি রেসপন্স টিম' পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের যেকোনও দুর্ঘটনার মোকাবিলা করার জন্য তৈল শোধনাগারের ভিতরেই পর্যাপ্ত আপতকালীন ব্যবপস্থাপনা থাকে। আইওসি-র তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পরই সংশ্লিষ্ট 'ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম'টি চালু করে দেওয়া হয়।
এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কেন্দ্রের যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দ্রুত ফোয়ারার মতো জল ঢালা যায়। তাতে আগুন বাগে আনা সহজ হয়। তবে, আইওসি-র সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
তাতে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ আপাতত অজানা। পরবর্তীতে সঠিক তদন্তের পরই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।
একইসঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়, এই ধরনের যেকোনও অঘটন ঘটলে সবার আগে কর্মীদের এবং তৈল শোধনাগারের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সেটাই সংস্থার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, সোমবারের এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে কারও মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও, পরে এক ব্যক্তির প্রাণনাশের খবর সামনে আসে।
ভদোদরার পুলিশ কমিশনার নরশিমা কোমার হিন্দুস্তান টাইমসকে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।'
কোমার আরও জানিয়েছেন, প্রথমে একটি স্টোরেজ ট্যাংকে বিস্ফোরণ হয়। এরপর আশপাশের স্টোরেজ ট্যাংকগুলিতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে দমকল কর্মীরা ৬৮ নম্বর ট্যাংকটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই ট্যাংকের পার্শ্ববর্তী আরও দু'টি ট্যাংকে আগুন লেগেছে। দমকল কর্মীরা সেই আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
কোমার জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও দমকল কর্মীদের আশা, মঙ্গলবার ভোরের মধ্যেই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।